ম্যাচের সেরা কেকেআর পেসার মিচেল স্টার্ক বলছেন ‘লাকি উইকেট’

মেন্টর গৌতম গম্ভীর ভরসা রেখেছিলেন। তাঁকে এত টাকায় কেন নেওয়া হয়েছে, ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। ফাইনাল নিশ্চিতের পর গম্ভীরকে হয়তো আর ব্যাখ্যা দিতে হবে না

এবারের আইপিএলে স্টার্ককে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। নিলামে তাঁকে ২৫ কোটি টাকায় কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। অথচ শুরুর দিকে তার পারফরম্যান্স এতটাই হতাশজনক ছিল যে তাকে বাদ দেওয়ার দাবিও উঠেছিল। ট্রাভিস হেডকে গোল্ডেন ডাক করেই ক্ষান্ত হননি স্টার্ক। পাওয়ার প্লে-তেই ফেরান নীতীশ রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদকে।
ছবিটা একবার ভাবুন। ইনিংসের দ্বিতীয় ডেলিভারি। সামনে জাতীয় দলের সতীর্থ ট্রাভিস হেড। এ মরসুমে বোলারদের ত্রাস। তাঁর বিরুদ্ধে বোলিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। ট্রাভিস হেডকে দ্রুত ফেরানোই লক্ষ্য মিচেল স্টার্কের। যা খুবই কঠিন কাজ। আর সেই কঠিন কাজই সহজ ভাবে করলেন স্টার্ক। লেন্থ বল, হালকা বাইরের দিকে যাচ্ছিল, হেড খেললেন, কিন্তু ব্যাটে বলে হল না। উল্টে উইকেট পড়ল! ট্রাভিস হেডকে গোল্ডেন ডাক করেই ক্ষান্ত হননি স্টার্ক। পাওয়ার প্লে-তেই ফেরান নীতীশ রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদকে। মেন্টর গৌতম গম্ভীর ভরসা রেখেছিলেন। তাঁকে এত টাকায় কেন নেওয়া হয়েছে, ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। ফাইনাল নিশ্চিতের পর গম্ভীরকে হয়তো আর ব্যাখ্যা দিতে হবে না।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্সের বিধ্বংসী ব্যাটিং আক্রমণের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তেই তিন উইকেট। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতলেন স্টার্কই। এর মধ্যে ট্রাভিস হেডের উইকেটই যে সবচেয়ে তৃপ্তির, বলার অপেক্ষা রাখে না। স্টার্ক বলছেন, ‘পাওয়ার প্লে কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা সকলেই জানি। এই দুটি দলই পাওয়ার প্লে-তে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছে। সুতরাং, দ্রুত উইকেট নেওয়া খুবই জরুরি ছিল। হেড ও অভিষেক এ মরসুমে পাওয়ার প্লে-তে যে ভাবে ব্যাট করছিল, ঠিক বর্ণনা করা যায় না।’ হেডের উইকেট প্রসঙ্গে স্টার্ক যোগ করেন, ‘এ ক্ষেত্রে নিজেকে ভাগ্যবান বলব। ওকে দ্রুত ফেরানো কার্যত অসম্ভব। সব দিন হয় না।’





Previous articleকয়লা পাচার মামলার তদন্তে এত বিলম্ব কেন? ফের সিবিআইকে ভর্ৎসনা আদালতের
Next articleরাইসির শেষকৃত্যে যোগ দিতে ইরানে জগদীপ ধনকড়