বায়োলজিক্যাল জন্ম নয়! আজব দাবি মোদির, নিজেকে ‘ঈশ্বর’ প্রমাণের চেষ্টা

কেউ প্রশ্ন তুলছেন মোদির অহঙ্কার নিয়ে কেউ আবার বলছেন আত্মতুষ্টির জেরে অজ্ঞতা আর মুর্খামি প্রকাশ্যে চলে আসছে।

একজন মানুষের ঠিক কতটা অহঙ্কার,ঔদ্ধত্য থাকলে নিজেকে ভগবান বলে দাবি করা যায়? দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার তার প্রমাণ দিল। নিজেকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ’ বলে জাহির করতে গিয়ে সব সীমা ছাড়িয়ে গেলেন মোদি। বললেন, বায়োলজিক্যালি নাকি তাঁর জন্মই হয়নি! এই কথা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই কার্যত হাসাহাসি শুরু হয়ে গেছে। কেউ প্রশ্ন তুলছেন মোদির অহঙ্কার নিয়ে কেউ আবার বলছেন আত্মতুষ্টির জেরে অজ্ঞতা আর মুর্খামি প্রকাশ্যে চলে আসছে। ঠিক কী বলেছিলেন মোদি? “মা যতদিন বেঁচে ছিলেন আমার মনে হত, হয়তো জৈবিক প্রক্রিয়ায় আমার জন্ম হয়েছে। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর নানা রকম অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি যে আমাকে পরমাত্মা পাঠিয়েছেন। এত শক্তি আমি কোনও জৈবিক প্রক্রিয়া থেকে পাইনি।”

বিজেপি নেতাদের জ্ঞানের পরিধি যে কতটা সেটা তাঁদের নানা বক্তব্য, শব্দচয়ন এবং কর্মকাণ্ডে সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তবে এবার সব সীমা পার করে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। কিছুদিন আগেই তাঁরই দলের নেতা মোদিকে জগন্নাথ দেবের থেকেও উচ্চ আসনে বসিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। এবার সেই একই রাস্তায় হাঁটলেন নরেন্দ্র মোদি নিজেই। তবে নিজেকে ‘ঈশ্বরের দূত’ মন্তব্য যে বিতর্ক তৈরি করবে সেটা জেনেই আগেভাগে সাফাই গাইতেও শোনা গেল তাঁকে। বললেন, “আমি এটা বলার পর অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করবে না। বামপন্থীরা আমাকে নিয়ে রসিকতা করবে। আমার চুল ছিঁড়ে নেবে।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে তিনি নাকি ঈশ্বরের তৈরি একটি যন্ত্র মাত্র। ঈশ্বর তাঁকে দিয়ে কাজ করাতে চান।” এরপরই কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে সুপ্রিমা শ্রীনেত (Supriya Srinate) বলেন, বিজেপি নেতারা সুপরিকল্পিত ভাবে প্রচার করে মোদিকে ঈশ্বরের অবতার হিসাবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মোদি নিজেও বলছেন তিনি পরমাত্মার দূত। এই প্রসঙ্গে তিনি হিটলারের কথাও তুলে আনেন। কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। যত সময় যাচ্ছে ততই মোদি এবং বিজেপি সরকারের স্বৈরাচারীদের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে বলেও সরব বিরোধীরা। এক্স হ্যান্ডেলে মোদির মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে নেট দুনিয়ার একাংশ। শুরু হয়েছে ট্রোলিং। কেউ বলছেন, ‘এই ব্যক্তি নিজেকে ভগবান ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। তাই আবার ইনি ক্ষমতায় এলে দেশের যে কী অবস্থা হবে তা ওনার কথা থেকেই আন্দাজ করা যায়।’ কারোর মতে নরেন্দ্র মোদি আসলে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চাইছেন। এভাবে ভোটের মধ্যে এই ধরণের মন্তব্য করে দেশের মানুষকে প্রভাবিত করতে চাইছেন।’ এই ধরণের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার কথাও বলেছেন অনেকে। সব মিলিয়ে যেভাবে নিজেকে সর্বাধিনায়কের জায়গায় বসাতে গিয়ে ঈশ্বরের দূত বললেন মোদি তা ভাল চোখে দেখছে না আপামর জনতা।


 

Previous articleতল্লাশি হতেই মাথা ঘুরে গেল অমিত শাহর! ৪৩০ আসনে ৩১০-এর দাবি!
Next articleনির্বাচন কমিশনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়