তল্লাশি হতেই মাথা ঘুরে গেল অমিত শাহর! ৪৩০ আসনে ৩১০-এর দাবি!

নির্বাচন বাকি দেশের ১১৫ কেন্দ্রে। ১১৫ আসনের মধ্যে ৯০ আসন জিততে গেলে ৭৮ শতাংশ আসন জিততে হবে বিজেপিকে

একদিকে বিরোধীরা, অন্যদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, যার মধ্যে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বামী পারাকালা প্রভাকরও রয়েছেন। গোটা দেশে যত স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপির ২০০ পার না হওয়ার সম্ভাবনা, তত নিজেদের সমর্থনে আসন বাড়িয়ে নির্বাচনী সভায় প্রচার করছে বিজেপি নেতৃত্ব থেকে বিজেপির মন্ত্রীরা। এবার পাঁচ দফায় ৩০০ আসন পেরিয়ে যাওয়ার দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তবে ৪৩০ আসনে ৩১০ আসন জেতার যে হিসাব তিনি দিলেন, তাতে বিজেপির অঙ্কেই ৪০০ অধরা থেকে যাচ্ছে, যা হয়তো হিসাব মেলাতে সমস্যা হয়েছিল অমিত শাহর।

বুধবার রাজ্যে ম্যারাথন সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি শুভেন্দু অধিকারী ও ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর বিরোধিতা করেন। এমনকি হুঁশিয়ারি দেন, “মমতা দিদি, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের জেলা সভাপতি, বিরোধী দলনেতা, প্রার্থীদের সাথীদের বাড়িতে রেড করে আপনি আমাদের ভয় পাইয়ে দেবেন, তা হলে বলব, আপনি ভুল করছেন।”

সেই সঙ্গে কাঁথির সভা থেকে তিনি দাবি করেন পঞ্চম দফার শেষে বিজেপির গোটা দেশে ৩১০ আসন পেরিয়ে গিয়েছে। অঙ্কের হিসাবে ৭২ শতাংশ আসন জিতে গিয়েছে বিজেপি, অমিত শাহর হিসাব অনুযায়ী। বিজেপি দাবি করেছে ‘ইস বার চারশো পার’। অর্থাৎ ৪০০ পেরোতে এখনও ৯০ আসন প্রয়োজন। ষষ্ঠ ও সপ্তম দফায় নির্বাচন বাকি দেশের ১১৫ কেন্দ্রে। ১১৫ আসনের মধ্যে ৯০ আসন জিততে গেলে ৭৮ শতাংশ আসন জিততে হবে বিজেপিকে। অর্থাৎ শাহর নিজের হিসাব অনুযায়ী বিজেপি এখনও ৭২ শতাংশ আসন জিতেছে। আগামী দুই পর্বে সেই জয়ের হার একলাফে ৭৮ শতাংশ হয়ে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব রাজনীতিকদের মতে।

বিরোধীদের দাবি নির্বাচনের যা পূর্বাভাস গোটা দেশ থেকে আসছে, তাতে হতাশায় খোদ নরেন্দ্র মোদি। বুধবারও শাহর একাধিক সভায় বাংলায় সভার মাঠ ভরেনি। তাই উচ্চাকাঙ্খা তৈরি করে আসন জেতার পথে নিচ্ছে বিজেপি। অন্যদিকে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী সূত্র পেলে রাজনীতিকদের সম্পর্কিত জায়গা তল্লাশি চালাতে পারে পুলিশ। এতদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল নেতাদের, সাংসদদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আসা বিজেপি নেতারা কখনও ভাবতে পারেনি আচরণবিধি অনুযায়ী এই নিয়ম তাঁদের উপরও লাগু হতে পারে। ফলে মঙ্গলবারের দুই তল্লাশির পরে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

Previous articleকীসের ভয়! তল্লাশি হতেই কেন আদালতে ছুটলেন শুভেন্দু-হিরণ
Next articleবায়োলজিক্যাল জন্ম নয়! আজব দাবি মোদির, নিজেকে ‘ঈশ্বর’ প্রমাণের চেষ্টা