ভোটের আগে নন্দীগ্রাম থানায় ঢুকে অ.সভ্যতামি শুভেন্দুর, উ.ন্মাদের আচরণ বিজেপি নেতার

কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ধমক দেন শুভেন্দু। যা নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন

ভোটের দু’দিন আগে একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। তার আগে নন্দীগ্রাম থানায় ঢুকে কার্যত উন্মাদের মতো আচরণ করলেন দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন শুভেন্দু। অসভ্যতামি করে হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। বার বার বলতে থাকেন, “আমাকে চেনে না…!”

তমলুক তথা নন্দীগ্রামে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বিজেপির। ভোটের আগে রাজনৈতিক ফায়দা নিয়ে মেরুকরণ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কথাও শোনা যায় শুভেন্দুর মুখে। নন্দীগ্রামে থানার আইসি-এর বিরুদ্ধে খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করার মতো অবান্তর অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই অভিযোগ তিনি করলেন নন্দীগ্রাম থানার ভিতরে দাঁড়িয়ে। তার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ধমক দেন শুভেন্দু। যা নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন।

গতকাল, বুধবার রাত পাহারা দিতে গিয়ে গোলমালের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মী রথীবালা আড়ির। গুরুতর আহত তাঁর ছেলে সঞ্জয়ও। বিকেলে নন্দীগ্রামে আসেন শুভেন্দু। তার পরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুভেন্দু নন্দীগ্রাম থানায় ঢোকার আগে সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। তাঁদের ধমক দেন শুভেন্দু। এর পর শুভেন্দু থানার ভিতরে ঢুকে পড়েন। সেখানে এক কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে তিনি বলেন, ‘‘খুনিরা থানায় এসেছিল। যারা খুন করেছে, মাকে খুন করেছে। খুনিদের সঙ্গে এখনই মিটিং করেছেন। আমি জানতে চাই, খুনির সঙ্গে এখনই মিটিং করেছেন কেন? মজা দেখাব আইসিকে!”