আড়াই মাসেও শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারল না বিজেপি! মগরাহাটের সভায় তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের

রাতপোহালেই লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠদফার ভোটগ্রহণ। তার পরে ১ জুন সপ্তম তথা শেষদফা। সেই প্রচারে এখন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে ছুটে বাড়াচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার, জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের মগরাহাট পূর্বের জনসভায় দলীয় প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের (Pratima Mandol) হয়ে সভা করেন অভিষেক। আর সেখান থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। কত টাকা বাংলাকে গত তিনবছরে দিয়েছে মোদি সরকার-তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। প্রায় আড়াই মাস আগে এই চ্যালেঞ্জ করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু এখনও সেটা করতে পারেনি বিজেপি- তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের। তিনি স্পষ্ট জানান, ৪ জুন কেন্দ্রে মোদি সরকারকে বদলে যাবে। তৃণমূলের সমর্থনে ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠন হবে। আর দিল্লি থেকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে গরিব মানুষের বকেয়া ফিরিয়ে আনবেন তাঁরা।আড়াই মাস হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি। জলপাইগুড়ি থেকে এই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলাম বাংলার বকেয়া নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাতে এতবার প্রচার করে গেলেন কিন্তু কোথায় শ্বেতপত্র? এদিন মগরাহাট পূর্বের জনসভা থেকে ফের এই প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিষেক। এ-দিনের সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, যত দিন যাচ্ছে তৃণমূলের উপর মানুষের আশীর্বাদ বাড়ছে। তৃণমূলের ভোট বাড়ছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রাজনৈতিক ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে অভিষেক বলেন, পরিবর্তনের প্রথম চাকা ২০০৮ সালে এই মাটি থেকে ঘুরেছিল। পূর্ব মেদিনীপুর আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে এসেছিল। অভিষেকের সংযোজন, ২০১৯ সালে জয়নগরে প্রতিমা মণ্ডলকে ৩৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতিয়েছিলেন। ২১ সালে যারা গেল গেল রব তুলেছিল তাদের বাড়াভাতে ছাই দিয়ে তাঁকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতিয়েছিলেন। এবার জয়নগর লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে মগরাহাট এক নম্বরে থাকবে। প্রতিটা বুথে জয়ের ব্যবধান বাড়াতে হবে।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় প্রচারে এসে সভা করে গিয়েছেন তার পাল্টা জবাব দিলেন অভিষেক। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দুদিন আগে বাংলার মাটিতে এসে কুৎসা করে গিয়েছে। এদিন তার পাল্টা জবাব দিলেন অভিষেক। তার কথায়, উনি বলেছেন দুর্গাপূজা উৎসব হবে না। রামনবমীর দিন অস্ত্র হাতে মিছিল হবে। অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ে রাস্তায় বোম-বন্দুক-তরোয়াল নিয়ে বেরোবে, আর বাংলার মানুষ পুজোয় ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নগমী, দশমীতে পরিবার পরিজনকে নিয়ে মণ্ডপ পরিদর্শন বা প্রতিমা নিরঞ্জনে গেলে অপরাধ হবে। আসলে বিজেপি বাংলায় দুর্গোৎসব বন্ধ করতে চায়। আপনারা বলুন এই বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেবেন না! একদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় মা মাটি মানুষ সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।





Previous articleঅ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স নিয়ে সতর্কবার্তা ভারতীয় গবেষণাপত্রে!
Next articleউত্তরপ্রদেশে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেট কেটে লিঙ্গ নির্ধারণের চেষ্টা, স্বামীর আজীবন কারাদণ্ড