উত্তরপ্রদেশে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেট কেটে লিঙ্গ নির্ধারণের চেষ্টা, স্বামীর আজীবন কারাদণ্ড

এই ঘটনায় শুক্রবার উত্তর প্রদেশের এক আদালত তাকে আজীবন কারাবাসের দণ্ড দিল।

বছর চারেক আগে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছিল উত্তর প্রদেশের বরেলীতে। ছেলে হবে.কিনা জানতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেট হাঁসুয়া দিয়ে কেটেছিল স্বামী পান্নালাল। দুদিন ধরে অনেক চেষ্টা করেও জখম মহিলার গর্ভে থাকা সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, পুত্র সন্তানই জন্ম নিত আর পাঁচ সপ্তাহ পরে। এই ঘটনায় শুক্রবার উত্তর প্রদেশের এক আদালত তাকে আজীবন কারাবাসের দণ্ড দিল।

স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, ছেলের আশায় পরপর পাঁচটি মেয়ে হয়েছিল পান্নালালের। তাই ষষ্ঠবার স্ত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার পরে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে পারেনি সে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেট কেটে দেখার চেষ্টা করে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে না মেয়ে। এই পাশবিক ঘটনার পরে গ্রেফতার করা হয় পান্নালালকে। স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।বরেলীর সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশন এলাকার নেকপুরে স্ত্রী ও পাঁচ মেয়েকে নিয়ে থাকত পান্নালাল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়েই হাসপাতালে যান যুবতীর পরিবারের লোকেরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, পরপর পাঁচ মেয়ে হওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করত পান্নালাল। এবার ছেলে চেয়েছিল সে। কিন্তু আগে থেকে নিশ্চিত হওয়ার জন্যই স্ত্রীর পেট কেটে সন্তানের লিঙ্গ জানার চেষ্টা করেছে সে। যুবতীর পরিবারের তরফেই থানায় পান্নালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।





Previous articleআড়াই মাসেও শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারল না বিজেপি! মগরাহাটের সভায় তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের
Next articleনিজেকে ঈশ্বর দাবি করা কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে? কমিশনকে প্রশ্ন থারুরের