শুভেন্দুর মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস! নন্দীগ্রাম-খুনে প্রকাশ্যে বিজেপির নোংরা রাজনীতি

সন্দেশখালির পরে নন্দীগ্রাম। ভোটের মুখ দলবদলু বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) একের পর এক মিথ্যচারের পর্দাফাঁস। নন্দীগ্রামে বিজেপি সদস্য আড়িবালাদেবীর খুনের ঘটনায় বিজেপির নোংরা রাজনীতির চক্রান্ত প্রকাশ্যে। নিহতদের এক আত্মীয়র ফোনালাপেই স্পষ্ট নির্বাচনের মধ্যে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। মৃতদেহে রাজনীতির রং লাগিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’।২৫ মে নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভোটগ্রহণ। তার আগে বিজেপি নেতার হাতেই খুন বিজেপি কর্মী। আর সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে (TMC) জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে শুভেন্দু অধিকারীর দল।

আসল ঘটনা কী?
আড়িবালাদেবীর আত্মীয় জানাচ্ছেন, (অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’।) ওই মহিলা ও তাঁর ছেলে সুদের কারবার করতেন। তিনি টাকা ধার দিয়েছিলেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে। দীর্ঘদিন তাগাদা করেও টাকা ফেরত পাননি মা-ছেলে। তা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত। ঘটনার দিন এলাকায় পিকনিক করছিলেন বিজেপি নেতারা। সেখানেই ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় আড়িবালাদেবীর পুত্রকে। অভিযোগ, তাঁকে জানানো হয়, সুদের কোনও টাকাই ফেরত দেবেন না বিজেপি নেতা। এর পর দুপক্ষের বচসা বাধে। ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। আড়িবালাদেবী যান ছেলেকে বাঁচাতে। সেখানে একটি বাঁশের লাঠির বাড়ি মারা হয় তাঁর মাথায়। মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ার।

পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনও উত্তেজনা হয়নি। কিন্তু ওই আত্মীয়র কথা অনুযায়ী, তার পরেই এলাকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় জড়িত বলে ব্যাপক মারধর শুরু করে বিজেপি। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। কিন্তু ওই ব্যক্তির কথায়, ঘটনায় কোনও ভাবেই তৃণমূল জড়িত নয়। এরপরেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে আড়িবালাদেবীর ওই আত্মীয় জানান, এলাকায় যত তৃণমূলের নেতা-কর্মী আছে, বেছে বেছে তাঁদের নামে কেস দেওয়া হয়েছে, যাতে ভোটের সময় এলাকা ফাঁকা থাকে। এটা শুভেন্দু অধিকারীর (Shubhendu Adhikari) পুরনো ছক বলেও অডিওটিতে অভিযোগ করতে শোনা যায়। (অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’।) তিনি বলেন, ২০২১-এর ভোটের আগেও এভাবে নন্দীগ্রাম বিরোধীশূন্য করে ভোট করান বিরোধী দলনেতা। এবারও সেই চক্রান্ত। ওই ব্যক্তির মতে, আক্রান্ত তরুণই আসল ঘটনা ফাঁস করতে পারবেন। কিন্তু তাঁকেও বিরোধী দলনেতা খুন করাতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই ব্যক্তি।

এবার কী বলবেন শুভেন্দু? কী বলবে বিজেপি? ভোটের জিততে মৃত্য নিয়ে নোংরা রাজনীতিই শুধু নয়, প্রধান সাক্ষীকে খুন করাও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁদের আত্মীয়। বিজেপির এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের জবাব নন্দীগ্রামের মানুষ ভোটেই দেবেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।






Previous articleরাতের যাত্রীদের জন্য সুখবর, বাড়ল শেষ মেট্রোর সময়
Next articleসুন্দরবন নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান, নতুন জেলার ইঙ্গিত মমতার