পরিচয়পত্র ছিনিয়ে চোখরাঙানি বিজেপি প্রার্থীর, বাঁকুড়ায় জনতার রোষে সুভাষ!

পাঁচ বছর আগে পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি দিলেও পাঁচ বছরে একবারের জন্যও সাংসদ এলাকায় আসেননি, জলের ব্যবস্থা তো দূরের কথা।

পশ্চিমাঞ্চলে পায়ের তলার মাটি নড়ে গিয়েছে বুঝতে পেরে ভোটের দিন এলাকায় ঘুরে উত্তেজনা তৈরি চেষ্টা বিজেপির পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার প্রার্থীদের। কোথাও বিরোধী দলের কর্মীদের পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নিলেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। আবার কোথাও বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দুষলেন সুভাষ সরকার। পাঁচ বছর ধরে ভোট পেয়েও ঘরে ঘুমিয়ে থাকার মতো অভিযোগে বিক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

সাধারণত শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্রপূর্ণ নির্বাচন দেখে এসেছে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া। শনিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে পুরুলিয়ায় শান্তির পরিবেশে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেন বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। বাঘমুণ্ডি বিধানসভার ঝালদা গার্লস স্কুলে তৃণমূল জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষের পরিচয় পত্র ছিনিয়ে নেন বিজেপি প্রার্থী নিজেই। সঙ্গে সঙ্গে বুথে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়। যে মহিলার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয় তিনি প্রতিবাদ করতে থাকেন, রীতিমত চ্যালেঞ্জ করেন বিজেপি প্রার্থীকে।

এরপরই এলাকার মানুষ বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বুথে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে বিজেপি প্রার্থীকে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে সতর্কও করা হয়। তবে বিজেপি প্রার্থীর এই অপ্রীতিকর আচরণের কারণে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।

অন্যদিকে বাঁকুড়ার শালতোড়ায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। এলাকায় ভোটের হালহকিকত বুঝতে শালতোড়া বিধানসভা এলাকার ঝনকা গ্রামে যান। বিদায়ী বিজেপি সাংসদকে দেখেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। এলাকায় পানীয় জল পর্যন্ত নেই। পাঁচ বছর আগে পানীয় জলের প্রতিশ্রুতি দিলেও পাঁচ বছরে একবারের জন্যও সাংসদ এলাকায় আসেননি, জলের ব্যবস্থা তো দূরের কথা। গ্রামবাসীরা দাবি করেন, “পাঁচ বছর ধরে ভোট পেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে গেলেন”। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুভাষ সরকার।

এরপর পাল্টা নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। ভোট পেয়েও যে সাংসদ সাধারণ মানুষের কাজ না করার অভিযোগে দুষ্ট হলেন নির্বাচনেরই দিন, সেই বিজেপি প্রার্থী পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, “যে দক্ষতার সঙ্গে সব করা দরকার ছিল তা করছে না।” যদিও বাঁকুড়া এলাকায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, যার থেকে প্রমাণিত জেলা পুলিশ নিজের ভূমিকা ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনা নিয়েও সদর্থক ভূমিকাও পালন করেছে।

Previous articleআমরা গর্বিত: কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে এ কী বললেন সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা!
Next articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম