লোকসভা ভোট শেষের পথে, এতদিনে কাশ্মীরে নির্বাচনের কথা শাহর মুখে!

পরবর্তী কাজ বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করা। সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমা পেরোনোর আগেই সেই প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ করে ফেলব

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই দেশের চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনাও শেষ হয়ে যাবে এই চার রাজ্যে। কিন্তু কাশ্মীরের জন্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না কেন্দ্র সরকার। পূর্ণরাজ্যের স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসা জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা অনেকটাই এই দাবিকে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। একদিকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া, অন্যদিকে পূর্ণরাজ্যের স্বীকৃতি মুছে প্রথমবার এতটা অস্থিরতার মধ্যে দেশের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে কাশ্মীর। নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার পেরিয়ে যাওয়ার পরে অবশেষে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে কাশ্মীর নির্বাচন ইস্যু। যদিও আদৌ কবে নির্বাচন হবে তা এখনও স্পষ্ট করতে পারলেন না অমিত শাহ।

কাশ্মীর ও লাদাখের জন্য ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি দেওয়া মোদি সরকার নির্বাচনের সময় ছাড়া ফিরেই তাকায়নি কাশ্মীরের দিকে। রাজনীতিকদের মতে নিজেদের দাবিকে সামনে রাখতে এবার লোকসভা নির্বাচনে কাশ্মীর উপত্যকায় ঢেলে ভোট দিয়েছেন মানুষ। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দাবি, “ভোটের হার বেড়েছে। অনেকেই বলতেন উপত্যকার মানুষ ভারতের সংবিধানে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু এই নির্বাচন ভারতীয় সংবিধান মেনেই হয়েছে কারণ কাশ্মীরের সংবিধানের আর অস্তিত্ব নেই। তাকে মুছে ফেলা হয়েছে।”

২০২৪ নির্বাচনে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারতের সংবিধান বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যে বিজেপি, তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাশ্মীর নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন। এর থেকেই স্পষ্ট কাশ্মীরের মানুষের মানসিকতা নয়, নিজেদের প্রয়োজনে কাশ্মীরকে ব্যবহার করে এসেছে বিজেপি। তবে লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসেও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন ও পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা নিয়ে ঢোক গিলছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “ডিলিমিটেশনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কারণ ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হলে সংরক্ষণের কাজ করা যাবে না। (সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য) আমাদের জানতে হবে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্তমান পরিস্থিতি কী রয়েছে। সেটা হয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনও হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী কাজ বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করা। সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমা পেরোনোর আগেই সেই প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ করে ফেলব।”

এখনও কাশ্মীরে কবে নির্বাচন হবে বলতে দ্বিধায় অমিত শাহ। রাজনীতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের উপর বিজেপির সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। ৪ জুন ভোটের ফল বেরোনোর পরে নিজেদের দিল্লির আসন নিশ্চিত হলে তবেই কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বিজেপি।

Previous articleফাইনালের আগে দলকে বিশেষ বার্তা শাহরুখ খানের
Next articleরিমেলের আতঙ্কে পিছিয়ে গেল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা