আজ আইপিএল-এর ফাইনাল। ফাইনালে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অধিনায়ক হিসাবে প্রথমবার আইপিএল ট্রফিটা মুঠোয় নেওয়ার সুযোগ শ্রেয়স আইয়ারের সামনে। চোটের কারণে গতবারের আইপিএলে খেলতেই পারেননি। সেই আফসোস অনেকটাই মিটিয়ে দিয়েছেন এই বছর।আর এবার তাঁর লক্ষ্য আইপিএল-এর ট্রফি জয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিপকের ২২ গজে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন কেকেআরের দুই স্পিনার সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। এই প্রসঙ্গে শ্রেয়স বলছেন, ‘‘সুনীল ও বরুণ খুব ভাল ফর্মে রয়েছে। দু’জনেই উইকেট পাচ্ছে। ওরা আমাদের পরিকল্পনার অন্যতম অস্ত্র। মাঝের ওভারে ওরা যেমন উইকেট নেয়, তেমন রানও আটকে রাখে। ফাইনালেও ওদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। ওরা দু’জন যদি সেরাটা দিতে পারে, তাহলে সাফল্য আসতে বাধ্য।”

শ্রেয়সের নেতৃত্বে টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে দল। তবুও তিনি বারবার আড়াল হয়ে গিয়েছেন মেন্টর গৌতম গম্ভীরের ছায়াতে! বিশেষজ্ঞ থেকে ক্রিকেটপ্রেমীদের বড় একটা অংশ মনে করছে দায়িত্বে ফিরেই কেকেআরকে বদলে দিয়েছেন গম্ভীর। ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে অবধারিতভাবে উঠে এসেছে গম্ভীরের প্রসঙ্গ। গম্ভীরের নেতৃত্বে দু’বার (২০১২ এবং ২০১৪) আইপিএল জিতেছে কেকেআর। এবার মেন্টরের ভূমিকায় গম্ভীর কি পারবেন নাইটদের তৃতীয়বার ট্রফি জেতাতে! গম্ভীর-শ্রেয়স জুটি কি ফাইনালেও হিট করবে! শ্রেয়স যদিও বলেন, ‘‘এই হাইপ আপনাদেরই (মিডিয়া) তৈরি। কোনও সন্দেহ নেই, গৌতম ভাইয়ের বিশাল অভিজ্ঞতা। কেকেআরের অধিনায়ক হিসাবে দু’বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ওঁর স্ট্র্যাটেজি অসাধারণ। প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা অনুযায়ী গেমপ্ল্যান তৈরি করেন। আমাদের কাজ মাঠে নেমে সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা। ওঁর যোগদানে টিমের শক্তি বেড়েছে। আশা করি, ফাইনালেও আমরা এই ছন্দ ধরে রাখতে পারব।’’

এদিকে চিপকের পিচ নিয়ে শ্রেয়সের বক্তব্য, ‘‘কোয়ালিফায়ার টু-তে যে পিচে খেলা হয়েছে, তার থেকে ফাইনালের উইকেট পুরোপুরি আলাদা। লাল মাটির উইকেট। জানি না, এই পিচ কেমন আচরণ করবে। তবে শিশির কোনও ফ্যাক্টর হবে বলে মনে হয় না।’’

আরও পড়ুন- Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
