কাঁথি কলেজের স্ট্রং রুমে লুকিয়ে দুই বিজেপি কর্মী! ধরা পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য

দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধীদের আশঙ্কাই নেহাত অমূল নয়। ইভিএম কারচুপির পর এবার ভোটের মেশিন হ্যাকিং- এর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। সেটাও আবার এ রাজ্যে অধিকারীদের গড়ে! পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে স্ট্রিং রুমের পাশের ঘরে বিজেপির লোকজন বসে থাকার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গতকাল, রবিবার সন্ধ্যায় কলেজের এনসিসি রুমের মধ্যে বিজেপির কয়েকজন “এজেন্ট” বসেছিলেন। ভোটের ২৪ ঘণ্টা পরেও তাঁদের গলায় বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টের পরিচয়পত্র ঝুলছিল।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের ঠিক আগে শুনশান গোটা এলাকা। তারমধ্যে কলেজে এনসিসি রুমে আলো জ্বলতে থাকায় কয়েকজনের সন্দেহ হয়। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তৃণমূলের কয়েকজন স্থানীয় নেতা-কর্মী কাঁথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে কলেজে গিয়ে বিজেপির এজেন্টদের চেপে ধরেন। সেখানে তাঁদের আটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে কাঁথি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পর কাঁথি পি কে কলেজের অধ্যক্ষ অমিতকুমার দে বলেন, “আমাদের কলেজ স্ট্রংরুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কাঁথির মহকুমা শাসক এই মুহূর্তে গোটা কলেজের কাস্টডিয়ান। সুতরাং সেখানে কারা গেল, কীভাবে ঢুকল, এসব প্রশ্নের উত্তর আমার দেওয়ার কথা নয়। এনসিসি রুম কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে। এদিন সন্ধ্যায় একজন ফোন করে জানান, সেখানে পার্টির লোকজন আছে। আমি জানিয়েছি, কলেজের কাস্টডিয়ান এসডিও। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কলেজের দু’-একটি জায়গায় বহিরাগতদের দেখা যাচ্ছে।”

জানা গিয়েছে, কাঁথি কলেজের বিজেপির অধ্যাপক সংগঠনের এক নেতা এনসিসি রুমটি ব্যবহার করেন। রবিবার সন্ধ্যায় সেই রুমে বিজেপি প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে কয়েকজন বসেছিলেন। খবর পেয়ে তৃণমূলের লোকজন গেলে তাঁরা স্ট্রংরুম গার্ড দেওয়ার কথা জানান। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। খবর পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা দলে দলে কলেজে ছুটে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিজেপির এজেন্টদের মধ্যে একজন ছুটে পালিয়ে যান।

অন্যান্য জায়গার মতো কাঁথি পি কে কলেজের স্ট্রংরুমের নিরাপত্তার দায়িত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তা সত্ত্বেও কীভাবে বাইরের লোকজন সেখানে ঢুকল, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা এত ঢিলেঢালা কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একাধিক স্তরে আধাসেনার নিরাপত্তায় থাকে স্ট্রংরুম। তার ধারেকাছে লোকজন ঘেঁষতে পারে না। রাজনৈতিক দলের কর্মীরা নির্দিষ্ট দূরত্বে ক্যাম্প করে পাহারা দেন বা নজরদাবি চালান। কিন্তু স্ট্রংরুমের পাশের ঘরে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বসে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন- মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিচালনার নজরদারিতে স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শদাতা নিয়োগ

Previous articleমেডিক্যাল কলেজগুলির পরিচালনার নজরদারিতে স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শদাতা নিয়োগ
Next articleজল থইথই পার্ক স্ট্রিট স্টেশন! ৪ ঘণ্টা ১৪ মিনিট পর স্বাভাবিক মেট্রো পরিষেবা