দেশের জনাদেশ মোদির বিরুদ্ধে, সঠিক সময়ের অপেক্ষা INDIA-র: বৈঠকে সিদ্ধান্ত

দেশের জনাদেশ গিয়েছে মোদির বিরুদ্ধে। দেশের গণতন্ত্র বাঁচাতে লড়াই চালিয়ে যাবে INDIA। বুধবার, মল্লিকার্জুন খাড়গের দিল্লির বাসভবনে জোটের বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি সাফ জানান, বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের মানুষ।মানুষ চায় না মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার হোক। জনমত মোদির বিরুদ্ধে গিয়েছে। মোদির নেতৃত্বে দেশে ফ্যাসিস্ট শাসন চলছে। আমরা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ করব। সংবিধান রক্ষা করতে মানুষ ভোট দিয়েছেন। এটা মোদির নৈতিক হার। এদিনের বৈঠকে খাড়গে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, নেত্রী সুপ্রিয়া শুলে, শিবসেনা (উদ্ধব) দলের সঞ্জয় রাউত। আপের তরফ থেকে ছিলেন রাঘব চাড্ডা, আরজেডি থেকে তেজস্বী যাদব। ছিলেন সিপিআই নেতা ডি রাজা, এমকে স্ট্যালিন, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, ওমর আব্দুল্লাহ, সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য-সহ জোটের অন্যান্য নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- অভিষেকের কাছে পরাজিত বিজেপি, নামমাত্র ভোটে জিতে প্রশংসায় সৌমিত্র!

সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিজেপির পক্ষেও সরকার গঠন সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে বারবার বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার গঠনের দাবি এনডিএ জানাবে এমন খবর ভাসিয়ে দিয়ে বিরোধীদের চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। তবে বিজেপির ভয় দেখিয়ে জয় করার রাজনীতি এবার আর ধোপে টিকছে না। বিরোধীরা একজোট হয়ে দাবি জানাচ্ছেন জনাদেশ I.N.D.I.A.-র পক্ষে। তাঁদের দাবি, “যখন অযোধ্যাতে বিজেপি পারজিত হয়েছে তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে জনগনের রায় I.N.D.I.A.-র পক্ষে। এখন শুধু অপেক্ষা করতে হবে সঠিক সময়ের।”

জোটের সব সদস্যের দাবি, বৈঠক ইতিবাচক। সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর দাবি, “বৈঠক ইতিবাচক। জনাদেশ যে পথে নির্দেশ দিয়েছে সেই পথে সমান উদ্দম নিয়ে এগিয়ে যাব আমরা। পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নেব।”

অতীতে সরকার গঠন নিয়ে অনেক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অনেক দলকেই পস্তাতে হয়েছে। পরবর্তীকালে সেগুলি রাজনৈতিক ইস্যুও হয়েছে। সেই সব ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক জোটের সব সদস্য। শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানান, “আমরা যখন সুযোগ সঠিক সুযোগ পাব, সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছি আমরা, তখনই মানুষ যে সরকারের পরিবর্তনের অপেক্ষা করছেন, সেই পরিবর্তন আমরা আনব। আগামি ছয় মাসের মধ্যে বোঝা যাবে এনডিএ জোটের সরকার আদৌ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় থাকছে কিনা।”

 

 

Previous articleঅভিষেকের কাছে পরাজিত বিজেপি, নামমাত্র ভোটে জিতে প্রশংসায় সৌমিত্র!
Next articleজাতীয় সেবা প্রকল্পের উদ্যোগে মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে বিশ্ব পরিবেশ দিবস