লোকসভা ভোট মিটে গিয়েছে। উঠে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। এবার প্রতিশ্রুতি মতো কেন্দ্রের আবাস প্রকল্পে বঞ্চিতদের পাকা ছাদের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হলো রাজ্য সরকার। এর জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ পোর্টাল। গৃহশ্রী নামের এই পোর্টাল তৈরির কাজ শেষ করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই ওই পোর্টালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্র সরকার ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির সম্মতি দেওয়ায় রাজ্যব্যাপী উপভোক্তাদের যাচাই পর্ব চালায় রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। তখনই তৈরি হয় চূড়ান্ত তালিকা। এদের বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়ার আগে ফের একবার উপভোক্তাদের বর্তমান পরিস্থিতি যাচাই করে নেওয়া হবে। কারণ, শেষবার যাচাইয়ের পর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় দেড় বছর। এই সময়ের মধ্যে অনেকে বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন। অনেকে হয়তো অন্যত্র চলে গিয়েছেন। এসব দিক খতিয়ে দেখে তবেই টাকা দেওয়া হবে। ডিসেম্বর মাসে রাজ্য বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা দেবে বলে জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে ‘বাংলার বাড়ি’ ও ‘আমার বাড়ি’ প্রকল্পে নাম থাকা উপভোক্তাদেরও এই তালিকায় জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি পাবেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তরাও। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৯ লক্ষের আশেপাশে হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেড রোডের ধর্না থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের টাকা আর আবাস যোজনার টাকা না দিলে সেই টাকা রাজ্য সরকারই দিয়ে দেবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার বাংলার প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষকে মোট ৩৭০০ কোটি টাকার মাধ্যমে তাঁদের বকেয়া ১০০ দিনের কাজের মজুরি মিটিয়ে দিয়েছে। এবার পালা আবাসের।