বারবার রাজ্যের সঙ্গে ঠাণ্ডা লড়াইয়ে জড়িয়েছেন বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা- সব বিষয়ই সমান্তরাল প্রশাসন চালাতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে বারবার তাঁর সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছে। ভোটের আগে বলেছিলেন তিনি রাস্তায় থাকবেন। কিন্তু তার আগেই রাজভবনে তাঁর যে কেলেঙ্কারি প্রকাশ পায় তাতে, দিল্লি (Delhi) গিয়ে আবেদন-নিবেদন করতে হয় বোসকে। ভোটপর্ব মিটতেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, “রাজ্যপালকে নিয়ে আমি ভাবছি না। আর দিন সাত-দশেক, বা ১৫ দিন… তারপর রাজ্যপালকে যেতে হবে। আমি তাঁকে বার বার বলেছিলাম, আপনার মতি ফিরুক। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মেনে নিন। তিনি তিন বারের বিপুল জনাদেশ পাওয়া মুখ্যমন্ত্রী। এখানে এসে জলে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করবেন না। কিন্তু তিনি শুনলেন না। সেটা তাঁর ব্যাপার। কিন্তু তাঁকে যেতে হবে… আজ হোক বা কাল। কেরলে ফিরে যেতে হবে।”

রাজ্যপাল বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু যৌন কেলেঙ্কারি, ধর্ষণের নাম জড়িয়েছে আনন্দ বোসের। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এই পরিস্থিতি রাজ্যের ভোটের সময়ে নজরদারির কথা বলে রাজ্যপাল। কিন্তু বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোটের প্রশংসা করেন স্বয়ং মুখ্যনির্বাচন কমিশনার। এই পরিস্থিতিতে আনন্দ বোসকে তীব্র আক্রমণ করলেন ব্রাত্য। তাঁর কথায়, ৭-১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যপালকে বাংলা থেকে চলে যেতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীর সাফ কথা, “উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী। তাও সুপ্রিম কোর্টে ভাল দাবড়ানি খাওয়ার পর।”


এরপরই শিক্ষামন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, “রাজ্যপালকে নিয়ে আমি ভাবছি না। আর দিন সাত-দশেক, বা ১৫ দিন… তারপর রাজ্যপালকে যেতে হবে। আমি তাঁকে বার বার বলেছিলাম, আপনার মতি ফিরুক। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মেনে নিন। তিনি তিন বারের বিপুল জনাদেশ পাওয়া মুখ্যমন্ত্রী। এখানে এসে জলে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করবেন না। কিন্তু তিনি শুনলেন না। সেটা তাঁর ব্যাপার। কিন্তু তাঁকে যেতে হবে… আজ হোক বা কাল। কেরলে ফিরে যেতে হবে।”
