দেশের সর্বোচ্চ আধিকারিকের পদের পর এবার রাজনীতিও ছাড়লেন ওড়িশার প্রাক্তন আইএএস ভি কে পান্ডিয়ান। বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে বিজু জনতা দলের চূড়ান্ত ভরাডুবির পরে প্রাক্তন আধিকারিকের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। ফলাফলের এক সপ্তাহের মধ্যেই এবার পদত্যাগের ঘোষণা পান্ডিয়ানের। দলের পরাজয়ের দায়িত্ব নিয়ে দল থেকে সরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন তিনি।

নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন বিজেপি নবীন পট্টনায়েকের নেতৃত্বাধীন বিজেডির প্রতি যে আক্রমণ করেছিল তার অনেকটাই পান্ডিয়ানকে লক্ষ্য করে ছিল। সেই সঙ্গে প্রাক্তন ওড়িশা মুখ্যমন্ত্রীর ছায়া সঙ্গী হয়ে ঘোরার বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষের সঙ্গে মাঠে নামে বিজেপি। তাঁরা দাবি করে পান্ডিয়ান নিজেকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার সব রাস্তা পরিষ্কার করছেন। ফলাফলে বিধানসভা নির্বাচনে শুধু পরাজয় নয়, লোকসভা নির্বাচনে একটি আসনও জিততে পারেনি বিজেডি।
এরপরই পান্ডিয়ান একটি ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, শুধুমাত্র নিজের ‘মেন্টর’ নবীন পট্টনায়েককে দেখেই তিনি চাকরিতে ভিআরএস নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। শুধুমাত্র তাঁকে সাহায্য করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন তাঁর কোনও পদক্ষেপের জন্য যদি দলের পরাজয় হয়ে থাকে তাহলে তার দায়ও তিনি মাথা পেতে গ্রহণ করার দাবি করেন। সেই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন তিনি রাজনৈতিক আক্রমণকে সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক তাঁর উপর আস্থা রাখেন। তিনি বলেন, পান্ডিয়ান কখনই তাঁর উত্তরসুরী হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেতে চাননি। সেই জন্যই তিনি কোনও আসন থেকে কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তবে দলের কাছে নিজের কাজ নিয়ে পান্ডিয়ানের ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা দলের মধ্যে তাঁর সমালোচিত হওয়ার সম্ভাবনা তুলে ধরছে। সেই সঙ্গে নবীন পট্টনায়েক যেভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে তিনিও দলীয় আক্রোশ থেকে পান্ডিয়ানকে রক্ষা করার কথাই বলেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।
