কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় খোলা যাচ্ছে না বহু স্কুল, হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের আর্জি

শেষ দফায় মোতায়েনের কথা ছিল অন্তত ১ হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। এখনও রাজ্যের বহু স্কুল খোলা যাচ্ছে না। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি আইনজীবীদের। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কারণে সেইসব স্কুল খোলা যাচ্ছে না। আগামী বুধবার বিষয়টি শোনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারীদের তরফে আইনজীবীদের বক্তব্য ছিল, দেড়মাস ব্যাপী লোকসভা ভোট মেটার পরও বহু স্কুল খোলা যাচ্ছে না। কারণ, এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারীরা।

আসলে, ভোট ঘোষণার আগেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের কলকাতা-সহ শহরতলির একাধিক স্কুলে থাকার জন্য নোটিশ দিতে শুরু করে পুলিশ। যার ফলে পঠনপাঠন ব্য়াহত হয় বলে প্রশ্ন তুলেছিল পর্ষদ। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন কেন্দ্রীয় স্কুলে থাকবে না? প্রসঙ্গত, শেষ দফার ভোটে অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে চিন্তিত ছিল নির্বাচন কমিশন। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত দুই ২৪ পরগনা। বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়রা। কোথায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী? চিন্তিত ছিল কমিশন। শেষ দফায় মোতায়েনের কথা ছিল অন্তত ১ হাজার ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই নিয়ে চিন্তা বাড়ে কমিশনের।

এই আবহে এদিন বসিরহাট লোকসভার দেগঙ্গায় তৃণমূলের বিজয় মিছিলে বোমাবাজি হয়। তৃণমূলের উপপ্রধানকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারার অভিযোগ উঠল আইএসফের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হন চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী। অভিযোগ, রবিবার রাতে বসিরহাট লোকসভা জয়ের জন্য দেগঙ্গার গোঁসাইপুরে বিজয় মিছিল করছিল তৃণমূল। অভিযোগ, মিছিল চলাকালীন হামলা চালায় আইএসএফ কর্মীরা। এই ঘটনায় চার আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকবেন। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন স্কুলেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সূচি অনুযায়ী, ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি থাকে। এবারে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২২ এপ্রিল থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ভোট মিটে যাওয়ার পর বাহিনী থাকার কারণে সেই ছুটি আরও সাতদিন বাড়ানো হয়। ১০ তারিখ থেকেই পুরোদমে পঠনপাঠন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা করা সম্ভব হচ্ছে না।

 

Previous articleআখের খেত থেকে উদ্ধার পুলিশকর্মীর ছেলের দেহ! ফের বড়সড় প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্যের নিরাপত্তা 
Next articleপাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত ম্যাচ জিততেই নিউ ইয়র্ক পুলিশকে বার্তা দিল্লি পুলিশের, কিন্তু কেন?