সন্দেশখালি নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করে বাংলায় নির্বাচনে বিরাট পরিবর্তন করার আশা করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই সন্দেশখালিই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির। একদিকে নির্বাচনের আগে একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসে গিয়ে বিজেপির সব পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যায়। এবার হারের পরই চরমে উঠেছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। এবার নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় কার্যত হাড় মাংস বেরিয়ে পড়েছে সন্দেশখালির বিজেপি নেতাদের।

দলের মধ্যে থেকেই উঠছে একের পর এক অভিযোগ। অভিযোগ উঠছে ভোটের আগে প্রার্থীর নাম করে টাকা তুলেছে দলের একাংশ। সব জেনেও চুপ করে ছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। সূত্রের খবর, শুধু বসিরহাট লোকসভা আসনে খরচ করার জন্য দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় ১২ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। এখন দলের নীচুতলার একাংশ বলছে, নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ টাকা নাকি কোনও এলাকাতেই পৌঁছয়নি। উল্টে টাকা চাইতে গেলে জুটেছে হুমকিও।


দুর্নীতির এখানেই শেষ নেই। নির্বাচনের কাজে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে বলে গাড়ির বিল দেখিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন স্থানীয় নেতাদের একাংশ। হারের পরই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা অভিযোগ করছেন, ভোটে দফতর থেকে আসা টাকার কানাকাড়িও তাঁরা পাননি। টাকা না মেলায় সিংহভাগ বুথেই বিজেপির কোনও এজেন্টও দেওয়া যায়নি। ভোট মিটতেই এখন এসব অভিযোগ সরগরম বসিরহাট বিজেপির অন্দরমহল। সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি তাতে আগামীদিনে এলাকায় বিজেপির অস্তিত্বই থাকবে কি না, সেটাই প্রশ্নের মুখে। সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্র লোকসভা ভোটে তিন লাখেরও বেশি ভোটে হেরেছেন তৃণমূলের হাজি নুরুলের কাছে। সন্দেশখালিতে বিজেপি যে নেহাতই কাগুজে বাঘ ছিল এই ফলাফলেই তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।
