লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) ফলাফল ঘোষণার দিন শেয়ার বাজারের রেকর্ড পতনের মধ্যে বিজেপির দুর্নীতির অভিযোগের সরব বিরোধীরা। ভুয়ো এক্সিট পোল তৈরি করে দেশের মানুষকে টাকা বিনিয়োগের বার্তা দিয়েছিলেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যার জেরে একদিনে প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দেশবাসীর। এই ঘটনায় বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির (SEBI) তদন্তের দাবি তুললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)।

Important
I’ve filed a new 2nd complaint with SEBI regarding stock market manipulation specifically demanding an investigation into statements made by PM Modi & HM Shah asking people to invest in stocks hinting at election results.
These statements by Modi & Shah constitute… pic.twitter.com/0Oyg62gc2Z
— Saket Gokhale MP (@SaketGokhale) June 11, 2024
লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির (BJP)। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক আগেই থমকে যেতে হয়েছে। অথচ শেষ দফার নির্বাচনের পরেই এক্সিট পোলে দেখানো হয়েছিল রেকর্ড ভোট পেতে চলেছে বিজেপি এবং এনডিএ। দেশের মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে শেয়ার মার্কেটে টাকা বিনিয়োগ করার উপদেশ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ (Narendra Modi Amit Shah)। ৪ জুন গণনা শুরু হতেই স্টক মার্কেটে ধস নামতে থাকে। পরের দিন অর্থাৎ গত ৫ জুন সেবিকে চিঠি পাঠিয়েছিল তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের দাবি ছিল, ভুয়ো বুথফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে কারসাজি করে শেয়ার বাজারের সূচককে তোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে মানুষকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে বলেছিলেন মোদী-শাহ। তাঁদের এই মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কোনও কারচুপি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি, ৩ জুন এবং ৪ জুন শেয়ার বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার কারণে মোদি, শাহ বা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনও সংস্থা মুনাফা লাভ করেছে কি না, তারও তদন্ত প্রয়োজন৷


কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, যে নির্বাচনে ভরাডুবির খবর আগে থেকেই জানতে পেরেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি তাই নিজেদের আখের গোছাতে পরিকল্পিতভাবেই শেয়ার বাজারে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। চন্দ্রবাবু নাইডুর স্ত্রী এবং ছেলে যেভাবে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার কাছাকাছি মুনাফা লাভ করেছেন তাতে আঁতাত আরও স্পষ্ট হচ্ছে। শুধুমাত্র যৌথ সংসদীয় কমিটি নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে এই গোটা ঘটনার তদন্তভার সেবিকে গ্রহণ করতে হবে। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বুথফেরত সমীক্ষায় জড়িত একটি সংস্থাকে বিজেপি নিজস্ব সমীক্ষা চালানোর জন্য ভাড়া করেছিল। সেই সংস্থা আবার সংবাদমাধ্যমের জন্যও সমীক্ষা করেছে। ওই সংস্থা ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল কি না এবং কোন কোন সংস্থা বাজারের ওঠানামা থেকে মুনাফা কুড়িয়েছে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিল ঘাসফুল শিবির। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। এবার এই ঘটনায় সেবার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস।
