নাই বা হল হাতির নাম যাত্রমঙ্গল আর কুসুমকলি। তবু হাতি নিজের ভাষাতেই নিজের নাম পরিচয় তৈরি করে নেয়। যারা বলেন – নামে কী বা আসে যায়, তারা অন্তত হাতির ক্ষেত্রে ঠিক বলেন না।
হাতির বুদ্ধির তারিফ যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। বহু ঘটনায় দেখা গিয়েছে হাতি অন্য সব পশুর থেকে একেবারে অন্যভাবে প্রতিক্রিয়া দেয়, যার সঙ্গে মানুষের প্রতিক্রিয়ার মিল থাকে।সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে হাতি নিজেদের দলের অন্য হাতিদের আলাদা আলাদা নামেও ডাকে।
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক আফ্রিকার কেনিয়ায় হাতির চরিত্রের উপর গবেষণা চালান। সেখানে হাতির আওয়াজ রেকর্ড করে লক্ষ্য করেন, প্রত্যেক হাতিই কোনও না কোনও বিশেষ আওয়াজে সাড়া দেয়। এর থেকেই প্রমাণ হয় প্রত্যেক হাতির পরিচিতি তাদের আলাদা নামে।
কিন্তু হাতি কীভাবে নিজের নাম বুঝতে পারে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক হাতির জন্ম দেওয়ার পরই মা হাতি সেই সন্তানকে একটি বিশেষ আওয়াজে পরপর বেশ কয়েকবার ডাকে। সেই থেকে শিশুটি নিজের পরিচয় বুঝে নেয়। অন্য হাতিও সেই আওয়াজ দিয়েই ওই হাতিটিকে চিনে নেয়। আর হাতির স্মরণ শক্তি তো কারো অজানা নয়।