প্রয়াত মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ টিকে চাত্তুনি। দীর্ঘদিন ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পর হার মানলেন তিনি । । বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে প্রথম বার জাতীয় লিগ জিতিয়েছিলেন কেরল থেকে আসা চাত্তুনি।১৯৯৭ সালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ জিতেছিল সালগাঁওকার। সেই দলের কোচ ছিলেন চাত্তুনি। ১৯৯৮ সালে অমল দত্তের জায়গায় বাগান কোচ করে আনে চাত্তুনিকে। সে বছরই মোহনবাগান প্রথম জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়। চাত্তুনি ভাস্কো, ওরকে মিলস, সেকেন্দ্রাবাদের হয়ে খেলেছেন। জাতীয় দলেও খেলেছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে মারডেকা কাপে ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন। সন্তোষ ট্রফি খেলেছেন সার্ভিসেস, গোয়া ও মহারাষ্ট্রের হয়ে।

খেলোয়াড় জীবনের মতো কোচিং জীবনেও বেশ কিছু ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। কেরল পুলিশ, কোচি এফসি, সালগাঁওকর, মোহনবাগান, ভিভা কেরলের মতো দলের কোচ ছিলেন তিনি। কলকাতায় বেশি দিন কোচিং না করালেও শহরে এলেই সবুজ-মেরুন তাঁবুতে যেতেন চাত্তুনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের ফুটবল মহলে।
প্রাক্তন ফুটবলার তথা মোহনবাগানের ঘরের ছেলে সত্যজিত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘সালগাঁওকর থেকে মোহনবাগান দলের দায়িত্ব নিতে কলকাতায় এসেছিলেন টিকে চাত্তুনি। সেবার মোহনবাগান বেশ ছন্দে ছিল। অমল দার যে সিস্টেম, সেই সিস্টেমের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই দলের কম্বিনেশন গড়ে তুলেছিলেন টিকে চাত্তুনি, তাতে ফুটবলারদের খেলতে সুবিধা হয়েছিল, আর দলকেও শ্রেষ্ঠ সাফল্যে নিয়ে গেছিলেন তিনি। কেরালা থেকে এসে কলকাতার এক প্রধানের কোচিং করানো আর এসেই সাফল্য দেওয়ার কাজটা যথেষ্ট কঠিন, কিন্তু সেই কাজই করে দেখিয়েছিলেন তিনি।তাঁর চলে যাওয়া ভারতীয় ফুটবলের জন্য বড় ক্ষতি’।
