লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম! লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, আটকে বহু পর্যটক

লাগাতার বৃষ্টিতে (Rain) ধসের জেরে একেবারে তছনছ উত্তর সিকিম (North Sikkim)। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, গোটা দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে লাচুং, লাচেন-সহ বহু এলাকার। একাধিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত অন্তত দেড় হাজার পর্যটকের আটকে পড়ার খবর মিলেছে। প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন। এদিকে ধসের জেরে ইতিমধ্যে বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে বহু। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটিও। সবমিলিয়ে একেবারে ধ্বংসলীলা চলছে সিকিমজুড়ে (Sikkim)।

এদিকে সিকিমে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকের যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ বাতলে দিয়েছে প্রশাসন। জানানো হয়েছে, ছোট গাড়ি আপাতত মানসং-১৭ মাইল-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে পারবে। তুলনামূলক বড় এবং ভারী গাড়িগুলি পেডং-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারবে। পাশাপাশি কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ২৭ মাইল থেকে তিস্তা ভ্যালি হয়ে পৌঁছনো যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।


এদিকে এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে বৈঠকে বসেন সরকারি আধিকারিকরা। কীভাবে উদ্ধারকাজ চালানো হবে, মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে, সেই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। মঙ্গনের জেলাশাসক হেমকুমার ছেত্রী বলেন, পাকশেপ ও অম্ভিথাং গ্রাম মিলিয়ে মোট ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও খবর, লাগাতার বৃষ্টিতে মঙ্গন ও চুংথাংয়ের সংযোগকারী বেইলি সেতুটি ভেঙে গিয়েছে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিংহ তামাং বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘরছাড়াদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।