EVM খোলার মোবাইলেই জালিয়াতি, মহারাষ্ট্রে ভোটের ফল নিয়ন্ত্রণ শিবসেনার পর্দাফাঁস!

রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এই তদন্তের প্রেক্ষিতে দাবি করেন, "যখন প্রতিষ্ঠান গ্রহণযোগ্যতা হারায় তখন গণতন্ত্রই মিথ্যা হয়ে যায় ও জালিয়াতির দিকে চলে যায়।

মাত্র ৪৮ ভোটে জিতেছিলেন শিবসেনার প্রার্থী রবীন্দ্র ওয়াইকার (Ravindra Waikar)। মুম্বাই উত্তর পশ্চিম কেন্দ্র থেকে পরাজিত হন শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠীর প্রার্থী আমল কীর্তিকার (Amol Kirtikar)। সেই ফলাফলের উপর তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে। ইভিএম (EVM) মেশিন খেলার জন্য মোবাইল ওটিপি (OTP) দেওয়া হয়েছিল একটি মোবাইল থেকে। আর সেই মোবাইল ফোনটি ছিল কমিশনের এক কর্মীর কাছে, যিনি একটি তথ্যপ্রযুক্তির বেসরকারি অফিসে ছিলেন। পুলিশ মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে এমন একটি মোবাইল থেকে ওটিপি জেনারেট (generate) করা গেল তা জানতে ডেকে পাঠানো হয়েছে শিবসেনা সাংসদের আত্মীয় মঙ্গেশ পান্ডিলকরকে।

লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকে অবাধ ও নির্বিঘ্নে নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের (ECI) কাছে বারবার দরবার করেছে বিরোধী I.N.D.I.A. জোটের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়েই পড়ল। নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন গণনাকেন্দ্রে ছিলেন দুই প্রার্থীই। নির্বাচন কমিশনের পোর্টাল অপারেটর (ENCORE poll portal) দীনেশ গৌরবের ছিলেন মুম্বাইয়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং তথ্য প্রযুক্তি দফতরে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে ছিল সেই মোবাইল যেখানে ওটিপি জেনারেট হচ্ছিল। মূলত সরকারি কর্মীদের ভোট দেওয়ার পোস্টাল ব্যালট সিস্টেমের (ETPBS) গণনার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল ওই মোবাইল ওটিপি, অনুমান তদন্তকারীদের।

পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, প্রথমদিক থেকে ভোটের ফলে এগিয়ে ছিলেন উদ্ধবপন্থী প্রার্থী আমল কীর্তিকার। ইলেক্ট্রনিকালি ট্রান্সমিটেড পোস্টাল সিস্টেম (ETPBS) গণনা শুরু হওয়ার পর থেকে এগিয়ে যেতে থাকেন শিবসেনা প্রার্থী রবীন্দ্র ওয়াইকার। শেয পর্যন্ত তিনি মাত্র ৪৮টি ভোটে জয়লাভ করেন। ইটিবিপিএস গণনার ওটিপি গৌরব ওই তথ্য প্রযুক্তি অফিস থেকেই জেনারেট করেছিলেন বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে তদন্তে চালাচ্ছে সেটি অন্য কোনও কাজে ব্যবহার হয়েছিল কিনা। অন্যদিকে ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সিসিটিভি ফুটেজও তদন্তে চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নির্বাচন কমিশনের ইভিএম সংক্রান্ত মামলায় কমিশন সর্বোচ্চ আদালতকে নিশ্চিন্ত করেছিল কোনও ধরনের কারচুপি এড়ানো যায়, এমন প্রযুক্তি রয়েছে এই পদ্ধতিতে। অথচ নির্বাচন শেষ হতেই তার কংকালসার চেহারা বেরিয়ে পড়ল। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এই তদন্তের প্রেক্ষিতে দাবি করেন, “যখন প্রতিষ্ঠান গ্রহণযোগ্যতা হারায় তখন গণতন্ত্রই মিথ্যা হয়ে যায় ও জালিয়াতির দিকে চলে যায়।”

Previous articleফ্রিজে গোমাংস রাখার শাস্তি! বকরি ঈদের আগেই ১১ বাড়িতে ‘বুলডোজ’ মধ্যপ্রদেশ পুলিশের
Next articleস্নেহা গুপ্তার দুরন্ত পারফরমেন্সে উইমেন বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগে জয়ী মুর্শিদাবাদ কুইন্স