ছেলেধরা (child abduction)সন্দেহে এক মহিলা সহ দুজনকে গণধোলাইয়ের ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের শ্রীনগর এলাকায়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। মধ্যমগ্রামের ঘোষপাড়া এলাকায় এক মহিলা ও এক পুরুষকে ছেলেধরা সন্দেহে আটক করে এলাকার মানুষ। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বারাসতের শ্রীনগরে। রীতিমতো গণধোলাই শুরু হয়। সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, শিশু চুরির কোনও ঘটনাই ঘটেনি। পুরোটাই গুজব। আর ঠিক সেই কারণেই গুজব ছড়ানো এবং মোবাইলে ওই ঘটনার ছবি তোলার অভিযোগে পুলিশ বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে বারাসত কামাখ্যা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় অটোয় উঠতে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। তার সঙ্গে ছিলেন আরও এক জন। সেই সময় আচমকাই তাঁকে ছেলেধরার তকমা দিয়ে মারধর শুরু করে জনতা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভিড় জমে যায়। গণপিটুনির খবর পেয়ে অকুস্থলে পুলিশ পৌছলে উল্টে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপরেই চড়াও হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বারাসতের এসডিপিও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে গুজবে কান না দেওয়ার কথা জানান। দিন কয়েক আগে কাজিপাড়ায় ১১ বছরের বালককে গলা টিপে খুন করা হয়। তার পর থেকেই এই গুজব রটছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুপার জানিয়েছেন যে, কাজি পাড়ার ঘটনাটি একটি খুনের ঘটনা। সেই ঘটনার তদন্তে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও ধৃত ব্যক্তি মৃত বালকের পরিজন বা পরিচিত কি না বা ধৃতের পরিচয় কী, তা জানায়নি পুলিশ। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

