শিশুদের মিড-ডে মিলে কেন্দ্রের ‘লাথি’, সরব ব্রাত্য বসু

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, "বারবার ভোটে হেরে যাওয়ার কারণে এই ধরনের ভয়ঙ্কর আচরণ। ৪ জুনের আগে যে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ দেখা যাচ্ছিল

ফাইল ছবি

একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার পর জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। এবার মিড-ডে মিলের বাংলার বরাদ্দও আটকে দিচ্ছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামের প্রচার না করার রাজ্যের সিদ্ধান্তের শাস্তি বাংলার শিশুদের দিতে চলেছে বিজেপি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে “নিষ্ঠুর, অমানবিক, বর্বরোচিত ঘটনা” বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি তাঁর।

গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্যকে এই টাকা দেয়নি কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে দুই হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। কেন্দ্রের দাবি পিএমশ্রী প্রকল্পে যে রাজ্য সই করবে না তাঁদের মিডডে মিলের টাকা আটকে দেওয়া হবে। পাল্টা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর যুক্তি, “এই টাকা দেওয়ার বিষয়ে ৬০ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র এবং বাকি ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য। তাহলে সেক্ষেত্রে প্রকল্পের নাম শুধুমাত্র পিএমশ্রী কেন হবে।”

সেই সঙ্গে এই কাজ যে নরেন্দ্র মোদির অভিসন্ধিমূলক, তা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “অর্থ দফতর টাকা ছেড়ে দিয়েছিল। ইউজিসি, শিক্ষা দফতর টাকা ছেড়ে দিয়েছিল। তারপর অন্য একটি প্রকল্প যার সঙ্গে পিএমশ্রী প্রকল্পের সম্পর্ক নেই, তাতে সই করা হয়নি। রাজ্য সরকার সই করেনি বলে বাচ্চাদের মিড-ডে মিলে পেটে লাথি মারতে চাইছে।”

বাংলায় বারবার নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার পর এভাবেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বিমাতাসুলভ আচরণ করতে দেখা গিয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, “বারবার ভোটে হেরে যাওয়ার কারণে এই ধরনের ভয়ঙ্কর আচরণ। ৪ জুনের আগে যে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ দেখা যাচ্ছিল, আশা করা হচ্ছে ৪ জুনের পরে গণতন্ত্রের পথে ভারত ফিরবে। এই ধরনের পদক্ষেপ তার পথে অন্তরায়।”