হলং বাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেন মন্ত্রী বীরবাহা

হেরিটেজ হলং বন বাংলোর (Holong Banglo) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কাছে। সূত্রের খবর, জমা পড়া রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হলং বাংলোয় ঘটনার দিন কোনও এসি চলছিল না। তবে মেইন সুইচ অন ছিল। আগুন লেগেছিল শর্ট-সার্কিট হয়েই।

কীভাবে শর্ট সার্কিট হল সে ব্যাপারেও আভাস মিলেছে তদন্ত রিপোর্টে। তদন্তে উঠে এসেছে, হলং বাংলায় ইঁদুরের উৎপাত ছিল। ইঁদুর কোনও তার কেটে দিয়ে থাকতে পারে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। আগুন লেগে যাওয়ার পর একের পর এক এসি ফেটে যায় বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। একসঙ্গে অনেকগুলো এসি বিস্ফোরণ হওয়ায় মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও প্রায় ৫৭ বছরের পুরনো বাংলোর (Holong  Banglo) কাঠ দাহ্য। ফলে তা দ্রুত জ্বলে গিয়েছিল। কাঠের বাড়ি জলের হাত থেকে বাঁচাতে যে বার্নিশ বা পালিশ করা হয় তাও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়াতে সাহায্য করেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের মধ্যে অবস্থিত হলং বাংলো বাঙালির প্রিয় পর্যটনস্থল। সেই হলং বাংলোয় অগ্নিকাণ্ডে ৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল যে, এসির শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি এই হেরিটেজ বাংলোয় আগুন লাগে। আগুন লাগার খবর পেয়েই দমকলের দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। বাংলোর কর্মীরাও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। সম্পূর্ণ বাংলোটি কাঠের তৈরি হওয়ায় দ্রুত তাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শেষপর্যন্ত পুরো বাংলোটিটাই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: “ভট্টাচার্য” পদবি নিতেই বিপাকে কল্যাণ চৌবে! মানিকতলার বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধ বিস্ফোরক অভিযোগ