প্রকাশ্যে রাজ্যপাল-স্পিকার দ্বৈরথ! বুধেই সায়ন্তিকা-রেয়াতের শপথগ্রহণ? বাড়ছে জল্পনা 

সময় যত গড়াচ্ছে ক্রমশই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। তৃণমূলের দুই ভাবী বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee) বা রেয়াত হোসেন (Reyat Hossain) সরকারের শপথগ্রহণকে (Oath Taken) কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। সময় যত গড়াচ্ছে ততই জটিল থেকে আরও জটিলতর হচ্ছে পরিস্থিতি।

বুধবার দুপুরে শপথ পাঠ করাতে রাজভবনে সায়ন্তিকা ও রায়াতকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু তৃণমূলের দুই ভাবী বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রেয়াত হোসেন সরকার— কেউই সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না বলে খবর। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত তাঁরা শপথ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন বিধানসভা ভবনে। রাজ্যপাল বা তাঁর মনোনীত ব্যক্তি চাইলে সেখানেই এসে এসে তাঁদের শপথ পাঠ করাতে পারেন। কিন্তু তাঁরা যে কোনওভাবেই রাজভবনমুখো হবেন না সেকথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত, দিন কয়েক আগে। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজভবনের সবুজ সঙ্কেত না পাওয়ায় ভোটে জিতেও শপথ নিতে পারছেন না বরাহনগরের বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা এবং ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী রায়াত। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই রাজভবনের তরফে ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি পাঠিয়ে শপথ নিতে আসতে বলা হয় সায়ন্তিকা এবং রায়াতকে। যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষকে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি রাজভবন। পরে বিধানসভার সচিবালয়ের কাছ থেকে বিধায়ক সংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়ে পাঠায় রাজভবন। এতেই ক্ষুব্ধ হন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ২০ জুন একটি চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে সাংবিধানিক নিয়ম স্মরণ করিয়ে দেন।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তৃণমূলের দুই জয়ী বিধানসভা প্রার্থী সায়ন্তিকা এবং রায়াতের শপথ নিয়ে সরগরম বাংলা রাজনীতি। একদিকে রাজ্যপাল চান সায়ন্তিকারা রাজভবনে এসে তাঁর কাছে শপথ পাঠ করুন। অন্যদিকে, সায়ন্তিকাদের বক্তব্য, তাঁরা রাজভবনে যাবেন না। কারণ প্রথমত, রাজভবন তাঁদের ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্র নয়। তাঁদের কাজ করতে হবে বিধানসভায়। আর রাজভবন থেকে সেই বিধানসভার অধ্যক্ষকে অপমান করা হয়েছে। তাই তাঁরা কোনওভাবেই সেখানে শপথ পাঠ করতে যাবেন না। পাশাপাশি সায়ন্তিকারাও চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে জানিয়ে দেন, তাঁরা রাজভবনে নয়, বিধানসভায় অধ্যক্ষের কাছেই বিধায়ক হওয়ার শপথ নিতে চান।

তবে আচমকাই মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। রাজভবনের তরফে এক্স হ্যান্ডলে একটি বিস্তারিত পোস্ট করা হয়। তাতে বিধানসভার স্পিকারের কড়া সমালোচনা করে রাজ্যপাল জানান, নবনির্বাচিত প্রার্থীদের শপথ নেওয়ার বিষয়ে যে চিঠি স্পিকার দিয়েছেন, তাতে রাজ্যপাল এবং রাজভবনের সাংবিধানিক মর্যাদাকে অবজ্ঞা করা হয়েছে।

 

Previous articleToday’s market price আজকের বাজার দর
Next article‘কি ফ্যাক্টর’ তৃণমূল! স্পিকার নির্বাচনের আগেই মমতাকে ফোন রাজনাথ-রাহুলের