স্বাধীনতার পর এই প্রথম! বুধেই লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচন, ভোটাভুটি ঘিরে চড়ছে পারদ

গত সোমবার থেকেই নতুন লোকসভার (Loksabha) প্রথম অধিবেশন শুরু হলেও এক সপ্তাহ কেটে গেলেও লোকসভার স্পিকার (Speaker) পদ নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারল না মোদি সরকার (Modi Govt)। উল্টে অধিবেশন শুরুর প্রথম থেকেই মোদি সরকারকে একের পর এক ইস্যুতে লাগাতার আক্রমণ বিরোধী জোটের। সাধারণত ঐক্যমতের ভিত্তিতেই লোকসভার স্পিকার নির্বাচন (Speaker Election) হয়ে থাকে। কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের শর্ত, তাঁরা বিজেপির স্পিকার প্রার্থীকে সমর্থন করতে তৈরি। তবে প্রথা মেনে ডেপুটি স্পিকারের (Deputy Speaker) পদ বিরোধীদের ছেড়ে দিতে হবে।
তবে সংবিধানে বলা থাকলেও গত পাঁচ বছরে লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করা হয়নি। এবার ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করা হবে এবং সেই পদটি বিরোধীদের ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে সেই পথে হাঁটতে নারাজ মোদি সরকার। ফলে বিরোধী শিবির পাল্টা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তা নিয়েই শুরু বিতর্ক‌। এর ফলে প্রায় ৪৮ বছর বাদে বুধবার লোকসভার স্পিকার পদে শাসক বনাম বিরোধী জোটের লড়াই হতে চলেছে। এনডিএ-র প্রার্থী প্রত্যাশিত ভাবেই ওম বিড়লা। যিনি গত লোকসভাতেও স্পিকার ছিলেন। গত বছর শীতকালীন অধিবেশনে একই সঙ্গে ১০০ জনের বেশি সাংসদকে সাসপেন্ড করে রেকর্ড করেছিলেন বিড়লা। তবে তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র প্রার্থী হচ্ছেন কংগ্রেসের আট বারের সাংসদ, কেরলের দলিত নেতা কে সুরেশ। বুধবার বেলা ১১টায় লোকসভায় স্পিকার পদের নির্বাচন শুরু হবে। এই ভোটের জন্য কংগ্রেস ও বিজেপি ইতিমধ্যে হুইপ জারি করেছে।
স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে মাত্র তিন বার স্পিকার পদে ভোটাভুটি হয়েছে। প্রথমবার ১৯৫২ সালে। দ্বিতীয়বার ১৯৬৭ সালে। তৃতীয়বার জরুরি অবস্থার পরে, ১৯৭৬ সালে। তবে বিরোধীদের যুক্তি, নরেন্দ্র মোদির জমানাতেও ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ ফিরে এসেছে। তবে সংখ্যা বেশি থাকলেও স্পিকার পদে যত বেশি সম্ভব ভোটে জয় নিশ্চিত করতে শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করছে বিজেপি। বুধবার সকালেও ভোটাভুটিতে যাওয়ার আগে আবার বৈঠক হবে। উল্টোদিকে, রাহুল গান্ধীকে পাশে নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

Previous articleআরও বিপাকে কেজরিওয়াল! ED-র পরে গ্রেফতার করল CBI
Next articleBreakfast news: ব্রেকফাস্ট নিউজ