চরমে জাতিগত অসাম্য, মোদি সরকারের ‘বিকাশে’ দেশের ৯০ শতাংশ কোটিপতিই উচ্চবর্ণের!

মুখেই শুধু সব কা বিকাশের স্লোগান, কিন্তু বাস্তবে যে তা কত বড়সড় ‘জুমলা’ তার পর্দাফাঁস করল এক সমীক্ষার রিপোর্ট (Report)। তৃতীয়বার শরিকদের কাঁধে ভর করে কোনওরকমে সরকার গঠন করেছে বিজেপি (BJP)। আর প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে একের পর এক বাউন্সারে এবার মাথা বাঁচানো দায় মোদি সরকারের (Modi Govt)। সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ কোটিপতিই উচ্চবর্ণের। ওই তালিকায় তফসিলি উপজাতির কোনও ভাগই নেই। বিহারের একটি সমীক্ষা রিপোর্টেও এধরনের জাতিগত অসাম্যের বিষয়টি প্রকট হয়েছে। আচমকা এমন রিপোর্ট সামনে আসতেই মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। বিরোধীদের মতে, মোদির টার্গেট শুধুমাত্র দেশের উচ্চবর্ণের মানুষকেই কোটিপতি করা। নিম্নবর্ণের কোনো মানুষকেই সেই তালিকায় জায়গা দেওয়া সম্ভব নয় কিন্তু ভোট আসলেই সেই সংখ্যালঘুদের তোষণ করতে উঠেপড়ে লাগে মোদি সরকার। যা এই রিপোর্টে স্পষ্ট।

‘টুওয়ার্ডস ট্যাক্স জাস্টিস অ্যান্ড ওয়েলথ রিডিস্ট্রিবিউশন ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক রিপোর্টে ভারতে সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে এই জাতিগত বৈষম্যের তারতম্যের বিষয়টি উঠে এসেছে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট সম্পদের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উচ্চবর্ণের এক শতাংশ মানুষের হাতে। যা ভারতের ‘ক্রমবর্ধমান বৈষ্যমের’ দিকেই ইঙ্গিত করছে। রিপোর্টে জনসংখ্যার বিন্যাসের ভিত্তিতে ভারতের কোটিপতিদের ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জাতিগত বৈষম্যের একটি স্বচ্ছ ছবি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ২০০৮ সালে ভারতে উচ্চবর্ণের কোটিপতি ছিলেন ৮৮.৬০ শতাংশ। সেখানে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির হার ছিল মাত্র ১০.৪০ শতাংশ।

২০১৮ সালে এই পরিসংখ্যান ছিল যথাক্রমে ৮১.৭০ শতাংশ এবং ১৪.৪০ শতাংশ। তার ঠিক দুবছর ঘুরতে না ঘুরতেই ২০২০ সালে কোটিপতির ক্ষেত্রে উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিত্ব বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪.৩০ শতাংশ। সেখানে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব কমে হয় ১১.৬০ শতাংশ। ২০২২ সালে এই অঙ্ক দাঁড়ায় যথাক্রমে ৮৮.৪০ শতাংশ এবং ৯ শতাংশ।

 

 

Previous articleপ্রবল বৃষ্টি, ধসে বিপর্যস্ত নেপাল; মৃত অন্তত ১৪
Next articleআজ টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত-ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল, রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি , ম্যাচ ভেস্তে গেলে কি হবে রোহিতদের ভাগ্য