নজিরবিহীন! স্বাধীনতা দিবসে মহিলাদের জন্য ‘বিশেষ উপহার’ ঘোষণা রাজ্যের

স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) আগেই রাজ্যের মহিলাদের (Women) জন্য বড়সড় ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকারের। এবার পশ্চিমবঙ্গের ১ কোটি ২২ লক্ষ মহিলার জন্য বিশেষ শৌচাগারের (Toilet) তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। প্রত্যেক উপভোক্তাকে শৌচাগার তৈরির জন্য দেওয়া হবে ১২ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে এই মর্মে প্রতিটি জেলা এবং জিটিএর প্রধান সচিবের কাছে চিঠিও পৌঁছে গিয়েছে বলে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর। তবে স্বাধীনতা দিবসের আগে সমস্ত কাজ সেরে ফেলার লক্ষমাত্রা নিয়েছে সরকার।

সূত্রের খবর, রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের অধীনে রয়েছে ১২ লক্ষ ৫ হাজার ৮৪৬টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী। মোট সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ২২ লক্ষ ৭৬৪। প্রকৃত উপভোক্তা বাছাই থেকে শুরু করে শৌচাগার নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের সময়সীমা ইতিমধ্যে বেঁধে দিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। সূত্রের খবর, আগামী ২৮ জুন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নেত্রীদের নিয়ে বৈঠক করে সমগ্র প্রক্রিয়া জানাবেন বিডিওরা। আগামী ১ থেকে ৭ জুলাই গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা সেরে নেবেন নেত্রীরা। জেনে নেওয়া হবে, কার কার বাড়িতে শৌচাগারের প্রয়োজন রয়েছে তার ভিত্তিতে তৈরি হবে প্রাথমিক উপভোক্তা তালিকা। আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সেই তালিকা জমা দিতে হবে বিডিওর কাছে। এরপর বিডিওর অধীনস্থ একটি দল সেই তালিকা মিলিয়ে উপভোক্তাদের বাড়ি গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। তার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে ৯ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে তা আপলোড করা হবে পঞ্চায়েত দফতরের রুরাল স্যানিটেশন পোর্টালে।

 

এরপর পঞ্চায়েতের সিলমোহর পেলেই সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছবে টাকা। আগামী ১৩ অগাস্টের মধ্যে এই কাজ শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। পাশাপাশি এই কাজের জন্য ১৫ অগাস্ট স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির হাতে শংসাপত্র তুলে দেবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকরা। রাজ্যের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, মহিলাদের সম্ভ্রম এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য উন্মুক্ত শৌচকর্ম অত্যন্ত বিপজ্জনক। পশ্চিমবঙ্গ ইতিমধ্যে উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হলেও প্রতিবছরই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। তৈরি হচ্ছে নয়া বাসস্থান। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শৌচাগারের প্রয়োজনীয়তা। তবে স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে এমন পদক্ষেপ এর আগে নেওয়া হয়নি। তার থেকেও বড় কথা, এবার ‘টুইন পিট’ শৌচালয় তৈরি হবে। ফলে জমা জলের কারণে মশাবাহিত রোগের কোপেও পড়তে হবে না।


Previous articleকারও জমিদারি নয়! বেআইনি পার্কিং নিয়ে কড়া অবস্থান মুখ্যমন্ত্রীর, বার্তা বিপজ্জনক বাড়ি-পুকুর ভরাট নিয়েও
Next articleযুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনে ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ