যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনে ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ

তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও নিজ দেশে ইহুদিবিদ্বেষ ও ইসলামভীতি বৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছে।

ভারতে ধর্ম পরিবর্তন রোধের আইন, বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ও বসত বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনে ভারতের সমালোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া বিশ্বজুড়ে ইহুদি ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষ বৃদ্ধি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার ২০২৩ সালের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন উন্মোচন করেন। তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও নিজ দেশে ইহুদিবিদ্বেষ ও ইসলামভীতি বৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছে।

এসব ঘটনার সঙ্গে ভারতের পুলিশও জড়িত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বধীনতা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর–অ্যাট–লার্জ রাশাদ হুসাইন। তিনি বলেন, ভারতের খ্রিষ্টান সম্প্রদায় জানিয়েছে, ধর্ম পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে তাদের প্রার্থনায় বাধা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে তারা স্থানীয় পুলিশের সহায়তা পাচ্ছে। এ ছাড়া তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার সময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ নিশ্চুপ ছিল এবং পরে ধর্ম পরিবর্তনে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীদেরই গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, বিশ্বের ২০০ টি দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রতি বছর ‘রিলিজিয়াস ফ্রিডম’ রিপোর্ট প্রকাশ করে আমেরিকার স্টেট্ ডিপার্টমেন্ট।ব্লিঙ্কেন বার্ষিক প্রতিবেদনটি উন্মোচন করে বলেছেন যে গাজা যুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইহুদি-বিদ্বেষ এবং ইসলামোফোবিয়া উভয়েরই তীব্র বৃদ্ধির মুখোমুখি হচ্ছে। প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা ও হামলা এবং তাদের উপাসনালয় ভাঙচুর করার ঘটনা রয়েছে।

 

Previous articleনজিরবিহীন! স্বাধীনতা দিবসে মহিলাদের জন্য ‘বিশেষ উপহার’ ঘোষণা রাজ্যের
Next articleধর্মতলায় একুশে জুলাই সমাবেশ কেন? স্পষ্ট জানালেন মমতা