পুজো দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনা! কর্নাটকে মৃত্যু দুই শিশু-সহ ১৩ পুণ্যার্থীর

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এদিন শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াও।

বেপরোয়া গতির জের! যার জেরে প্রাণ গেল কমপক্ষে ১৩ যাত্রীর। আহত হয়েছেন ৪ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কর্নাটকের (Karnataka) হাবেলি জেলার কুন্দেলহালি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোররাতে কর্নাটকের শিবমোঙ্গা জেলার বাসিন্দারা একটি মিনিবাসে (Mini Bus) চড়ে বেলাগাভি মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকে ফেরার পথে আচমকাই ঘটে যায় বড়সড় দুর্ঘটনা। এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এদিন শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) ও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াও (Siddaramaiah)।

 

ঠিক কী ঘটেছিল?

স্থানীয় সূত্রের খবর, কর্নাটকের বাসিন্দা ওই পুণ্যার্থীরা শুক্রবার ভোররাতে বেলাগাভি মন্দির থেকে ওই মিনিবাসে চেপে পুজো দিয়ে ফিরছিলেন। কিন্তু রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী মিনিবাসটিই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মালবাহী গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। আর তার জেরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয় বলে খবর। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে হাসপাতালে আরও দুজন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। জানা গিয়েছে, মালবাহী গাড়িগুলিকে দাঁড় করিয়ে এদিন চালকরা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ভোররাতে সেই গাড়িগুলিতেই সজোরে ধাক্কা মারে মিনিবাসটি।

তবে ঠিক কী কারণে এমন দুর্ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ওই মিনিবাসটির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আর সেকারণেই এই বিপত্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন ভোর পৌনে চারটে নাগাদ ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।

Previous article‘ওয়েলকাম ব্যাক’, হেমন্ত সোরেনের জামিনে অভিনন্দন মমতার
Next articleশহরে হকার সার্ভে শুরু, পথে মেয়র পারিষদ সহ পুর আধিকারিকরা