শপথগ্রহণ জট থেকে বাংলার আর্থিক পরিস্থিতি: রাজ্যপাল বোসকে তুলোধনা কুণালের

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) অনড় মনোভাবের জন্য দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি শপথ নিতে পারছেন না। ২৫ দিন কেটে যাওয়ার পরেও আটকে তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee) এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথ। সোমবারের মধ্যে যদি ইতিবাচক পদক্ষেপ না করেন, তাহলে মঙ্গলবার গোপন কথা ফাঁস হবে। রবিবার ফের একথা জানালেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একই সঙ্গে তাঁর মতে, বিধানসভার অধ্যক্ষ খোলা মনে আবেদন করেছেন। রাজ্যপালও সেটা খোলা মনে এই জটিলতার মীমাংসা করবেন। একই সঙ্গে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির বিষয়ে রাজভবনের পোস্ট নিয়ে তুলোধনা করে কুণাল।সায়ন্তিকা ও রায়াতের শপথ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদ্রী মুর্মুকে চিঠি লিখেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। সুস্থ গণতন্ত্রের পরিপন্থী রাজ্যপাল বোসের আচরণ- রাষ্ট্রপতিকে লিখেছেন অধ্যক্ষ। এই পরিস্থিতিতে আগেই রাজ্যপালকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “রাজ্যপালকে সম্মান করি। তবে তৃণমূলের একজন সৈনিক হিসেবে বলতে পারি উনি বিজেপির লোকের মতো আচরণ করছেন।” এরপরই কুণাল বলেন, “সোমবার বেলা ৩টে পর্যন্ত দেখব, তাঁর মধ্যে আমাদের দুজন জয়ী প্রার্থীর শপথগ্রহণের ব্যবস্থা না হলে দিল্লির তাজ হোটেলে কী ঘটেছিল, সেই অজানা ঘটনা মঙ্গলবার থেকে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করবে।” এদিন এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেতা জানান, “বিধানসভার অধ্যক্ষ খোলা মনে আবেদন করেছেন। রাজ্যপালও সেটা খোলা মনে এই শপথ জটিলতার মীমাংসা করবেন।”

দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গেও দেখা করেন রাজ্যপাল বোস। সেই বিষয়ে রাজভবন থেকে পোস্ট করে বাংলার আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সমালোচনা করা হয়। তার প্রতিবাদ করেন কুণাল। তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলার হাতে রাজ্যপাল ফুল দিচ্ছেন তাঁর স্বামীই মোদির আর্থিক নীতির তুমুল সমালোচনা করেছেন। যদি আনন্দ বোস নিজেকে রাজ্যের অভিভাবক মনে করেন, তাহলে তাঁর উচিৎ কেন্দ্রের কাছে বাংলার যে বকেয়া টাকা আছে তার জন্য দরবার করা।

রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ সামনে আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “আমি আর রাজভবনে যাব না। প্রয়োজন হলে রাস্তায় দেখা করব।” সায়ন্তিকারাও জানিয়ে দিয়েছেন, রাজভবনের পরিবর্তে বিধানসভাতেই শপথ নিতে চান। বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ফের জানান, “রাজভবনে যা কীর্তিকলাপ হয়, তাতে ওখানে মেয়েরা যেতে ভয় পায়।” এই পরিস্থিতিতে ফের কুণাল জানালেন, সোমবার দুপুরের মধ্যে রাজ্যপাল (CV Anand Bose) শপথগ্রহণের বিষয়ে ইতিবাচক ব্যবস্থা না নিলে মঙ্গলবার সত্য ফাঁস হবে।





Previous articleভুবনজয়ী ভারত, আবেগে ভাসলেন অমিতাভ থেকে আয়ুষ্মান! সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস বলিউডের
Next articleদুই গোষ্ঠীর বি.বাদের জেরে র.ণক্ষেত্র হাওড়ার বাঁকড়া