গণপিটুনিতে মৃত্য়ুদণ্ড থেকে গাড়ি দুর্ঘটনায় ছাড়: নতুন আইনের ব্যাখ্যা অমিত শাহর

কোনও ব্যক্তি গাড়ি দিয়ে কোনও ব্যক্তিকে ধাক্কা মারেন, আবার সেই ব্যক্তিই যদি আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যান, তবে তাঁরা হালকা শাস্তি

দেশ জুড়ে প্রবল প্রতিবাদের মধ্যে সোমবার থেকে প্রথমবার কার্যকর হল ন্যায় সংহিতা সহ তিন ফৌজদারি আইন। নতুন আইনে কীভাবে ভারতীয়ত্ব রক্ষা হয়েছে, সোমবার সেই ব্যাখ্যা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, আইনি পথে শাস্তি দেওয়ার থেকে বেশি গুরুত্ব বিচার পাওয়ার উপর দেওয়া হয়েছে নতুন আইনে।

নতুন আইনে বদল আনা হয়েছে বহু ক্ষেত্রে। একদিকে যেমন পুলিশের ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই প্রবলভাবে প্রযুক্তির প্রয়োগ কার্যকর করা হয়েছে এই আইনে, দাবি শাহের। তবে এই আইনে পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অনেকাংশে ছাড় পেতে পারেন গাড়ির চালকরা। শাহের দাবি, “যদি কোনও ব্যক্তি গাড়ি দিয়ে কোনও ব্যক্তিকে ধাক্কা মারেন, আবার সেই ব্যক্তিই যদি আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যান, তবে তাঁরা হালকা শাস্তির সম্মুখিন হবেন। কিন্তু ধাক্কা মেরে মৃত্যুর ঘটনায় গুরুতর শাস্তি হবে।”

এই আইন আসার আগে পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে গাড়ির চালকদের শাস্তি নিয়ে যে প্রস্তাবনা রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে দেশ জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন গাড়ির চালক, বিশেষত ট্রাক চালকরা। তবে আইন বলবৎ হওয়ার পরে আদৌ তাঁদের স্বার্থ বা দাবি রক্ষিত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি তাঁরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, সোমবার থেকে চালু হওয়া নতুন প্রথমবার দেশে গণপিটুনির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার দাবি করা হয়েছে। শাহ বলেন, “গণপিটুনির ক্ষেত্রে আইনে কোনও প্রতিকার ছিল না। এখন তার পথ খোলা হয়েছে। এটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।”