ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কে? দড়ি টানাটানি খেলায় মুখোমুখি সুনক-স্টার্মার! আজই রায় ঘোষণা

হাতে আর কিছু সময় বাকি। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা থেকেই শুরু হবে ভোট (Voting)। ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে। ভারতীয় সময় সকাল ১১টার পর সেখানে ভোটাভুটি শুরু হবে বলে খবর। এদিকে চলতি নির্বাচনে (UK Election) পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে কনজারভেটিভ এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সমীক্ষা বলছে ১৯৯৭-এর পর ফের ক্ষমতায় ফিরছে লেবার পার্টি। সেবছর নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতায় ৪১৮ আসন পেয়ে জিতেছিল তারা। তবে মনে করা হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে (Election) সেই রেকর্ড ভেঙে যাবে।

এর আগে ১৯৩১ সালে ৪৮২ আসন পেয়েছিল লেবার পার্টি। ৬৫০ আসনের ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার ৩২৬। তবে ব্রিটেনে ভোট দানের হার অনেকটা কম। ভোটের দিন বিশেষ ছুটিও থাকে না। এখানে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের হার উল্লেখযোগ্য। গত কয়েকটি সাধারণ নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ৫০-৫২শতাংশ। কারণ, ব্রিটেনের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ অভিবাসী। যদিও তাঁরা ভোটদানের সুযোগ পান, তবে বাইরের থেকে কর্মসূত্রে আগত বা পড়ুয়ারা ভোট দিতে যান না সেভাবে। ফলে এশিয়ার জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ভোট না দেওয়ায় যথেষ্ট প্রভাব পড়ে।

তবে এই মুহূর্তে জোর চর্চা লেবার প্রার্থী কিয়ের স্টার্মারকে নিয়ে। তিনিই এই ভোট জিততে চলেছেন বলে খবর। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেক্ষত্রে যদি বৃহস্পতিবার সুপার মেজরিটি পেয়ে যান স্টার্মার, তাহলে আগামী ১৮ বছর লেবার সরকারকে সরানো যাবে না। লেবার পার্টি মূলত বামপন্থী দল হিসেবে পরিচিত হলেও, এবার ভোটের আগে তারা নয়া কৌশল অবলম্বন করেছে। এবার তারা প্রচারে বাম পন্থার সঙ্গে ডান পন্থার মিশ্রণ ঘটিয়েছে। পাশাপাশি ইস্তেহারে অনেক ধরনের কর ছাড়ের বিষয় থেকে আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যা মূলত দেখা যায় ক্যাপিটালিস্ট দেশগুলিতে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে লেবারদের প্রসঙ্গে আর একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য, ভারত বিরোধী মনোভাব থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে তারা। তবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ওয়েস্টমিনস্টারের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে? বৃহস্পতিবার তার রায় দেবেন ব্রিটেনবাসী। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ কমন্স’-এর ৬৫০ আসনের ভোটগ্রহণের পরেই শুরু হয়ে যাবে গণনা।

নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ব্রিটেনে ভোট করাতে হবে। সুনক আগে বলেছিলেন, এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে হবে ভোট। কিন্তু গত ২২ জুন হঠাৎই রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এর পর ৪ জুলাই ভোটের দিন ঘোষিত হয়েছিল। এবার অবশ্য ঋষি সুনকের বিদায় নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, লেবার পার্টি ৪০ শতাংশ ভোট পেতে চলেছে। টোরিরা পাবে ২০ শতাংশের সামান্য বেশি। নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন কট্টরপন্থী দল রিফর্ম ইউকে পেতে পারে ১৬ শতাংশ ভোট। এছাড়া, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি-সহ ছোট–বড় প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল ভোটে অংশগ্রহণ করছে। মোট চার হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবারের নির্বাচনে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট শুরু হবে, শেষ হবে রাত ১০টায়।

Previous articleToday’s market price আজকের বাজার দর
Next articleমুখ্যমন্ত্রী-বুদ্ধিজীবীদের বৈঠক নিয়ে বিভ্রান্তি! আসল সত্য প্রকাশ্যে আনলেন কুণাল