Saturday, November 22, 2025

সুনাকদের ধরাশায়ী করা স্টার্মারকে জানেন ?

Date:

Share post:

ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে। আগেই বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছিল। সেই ইঙ্গিতকে সত্যি করে শুক্রবার ‘পরিবর্তন’ ঘটল ব্রিটেনে। মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টি হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪০০টির বেশি আসন পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ৬১ বছর বয়সি কিয়ের স্টার্মার। এই আইনজীবীকে নাইট উপাধী দিয়েছিলেন প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ২০১৫ সালে তিনি প্রথম লন্ডন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে হতাশাজনক ফলের পরে দলের নেতা হয়েছিলেন স্টার্মার।
২০০৮ থেকে ২০১৩ স্টার্মার ছিলেন ডিরেক্টর অফ পাবলিক প্রসিকিউশন। ১৯৬২ সালে লন্ডনের উপকণ্ঠে জন্ম নেওয়া স্টার্মার বেড়ে উঠেছিলেন সারে-র অক্সটেড শহরে। তাঁর মা ছিলেন নার্স এবং বাবা কারিগর। স্টার্মারের মা-বাবা দু’জনেই লেবার সমর্থক ছিলেন। স্টার্মাররা চার ভাই-বোন ছিলেন। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান। পরে লিডস বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি।

১৯৬২ সালের ২ সেপ্টেম্বর অক্সটেডে জন্মগ্রহণ করেন কিয়ের স্টার্মার। একটি শ্রমজীবী ​​পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তার মা ছিলেন ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের একজন নার্স। তার বাবা ছিলেন একজন টুল মেকার। স্টার্মার রিগেট গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তার পরিবারে তিনিই প্রথম সদস্য যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন স্টার্মার। রাজনীতিতে আসার আগে স্টার্মার একজন বিশিষ্ট মানবাধিকার প্রতিরক্ষা আইনজীবী ছিলেন। একজন ‘বাম আইনজীবী’ হিসেবে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলেন স্টার্মার। ১৯৮৭ সালে একজন ব্যারিস্টার হিসেবে তার কেরিয়ার শুরু করেন।
২০০৩ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য উত্তর আয়ারল্যান্ড পুলিশিং বোর্ডের আইনী উপদেষ্টা ছিলেন। এই সময়ে তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা ২০০৭ সালে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।

২০০৮ সালে স্টার্মার পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক নিযুক্ত হন। ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের নেতৃত্ব দেন। তার সময়কালে, স্টিফেন লরেন্স হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল মামলা পরিচালনা করেন তিনি। ২০১৪ সালে ফৌজদারি বিচারে তার অসামান্য অবদানের জন্য বাকিংহাম প্যালেসে প্রয়াত রানি এলিজাবেথ তাকে নাইটহুড উপাধি দেন। স্টার্মার ২০১৫ সালে হলবর্ন এবং সেন্ট প্যানক্রাসের এমপি হিসাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। রাজনীতিতে এসেই তিনি দ্রুত লেবার পার্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শ্যাডো ইমিগ্রেশন মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে জেরেমি করবিনের পদত্যাগের পর, স্টার্মার ২০২০ সালে লেবার পার্টির নেতা নির্বাচিত হন।

বামপন্থী নেতা হলেও লেবার পার্টির সদস্যদের কাছে নিজেকে মধ্যপন্থী নেতা হিসাবে তুলে ধরেন স্টার্মার। দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথম নির্বাচনেই বাজিমাত। ২০২৪ সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে লেবার পার্টি। ১৪ বছর পরে ব্রিটিশ রাজনীতিতে পালাবদল ঘটিয়েছেন।

 

spot_img

Related articles

রিল-রিয়েল একাকার! ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’-এ থানায় ছুটলেন মদন

একেই বোধহয় বলে, "ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে"। "দাদা একটু আসুন, আপনি না এলে হবে না", "আমার নির্দোষ...

প্রিমিয়ারেই জমজমাট গৃহকর্মীদের রোজনামচার ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’

শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী ওঁরা রোজ আসেন, রোজ কাজ করেন, সমস্ত রকম নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যের পরিষেবা দেন। কিন্তু ওঁদের নিয়ে গল্প...

টেকনিশিয়ানদের টাকা বাকি রেখে কুৎসা রটাচ্ছেন রুদ্রনীল! তথ্য দিয়ে ধুয়ে দিলেন স্বরূপ

নিজে টাকা বাকি রেখে উল্টে ফেডারেশনের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা ছড়াচ্ছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)! শুক্রবার সাংবাদিক...

কাজের চাপে শীতলকুচিতে মর্মান্তিক মৃত্যু বিএলও-র! পরিবারের পাশে রাজ্য

অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা—এই দুইয়ের মাঝেই শেষ হল শীতলকুচির বিএলও ললিত অধিকারীর জীবনযাত্রা। বেশ কয়েকদিন ধরেই...