আগামী ১০ জুলাই উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (Bagdah Assembly By Poll)। তার আগে আজ, সোমবারই ছিল প্রচারের শেষদিন। সামান্য একটি বিধানসভা উপনির্বাচন মনে হলেও এই ভোটের ফলাফল রাজনৈতিক ভাবে খুব তাৎপর্যপূর্ণ।

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে রাজ্যজুড়ে শাসক দল তৃণমূল ভালো ফল করলেও বাগদা যে লোকসভার মধ্যে পড়ে, সেই বনগাঁ কেন্দ্রে হারতে হয়েছে তাদের। ফলে বিধানসভা ভোটার দু’বছর আগে মতুয়া অধ্যুষিত এই বিধানসভা কেন্দ্রকে পাখির চোখ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। নির্বাচন ঘোষণার হওয়ার পর থেকে বাগদায় দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বকে নিয়ে অলআউট ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের দিয়ে প্রচার করিয়েছে তৃণমূল। মতুয়া ঠাকুর বাড়ির সদস্য মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করেও মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজনৈতিক মহল বলছে, বাগদা (Bagdah Assembly By Poll) জোরদার লড়াই হবে। বাগদাতে দলীয় প্রার্থীর হয়ে এদিন শেষলগ্নে প্রচার করেন ব্যারাকপুরে আসেন নবনির্বাচিত সাংসদ পার্থ ভৌমিক। তিনি হাতজোড় করে মানুষের কাছে দলীয় প্রার্থী মধুপর্ণার সমর্থনে ভোট চান। এদিন পার্থ ভৌমিক বলেন, “একবার আমাদের সুযোগ দিন। আমরা কি একবার সুযোগ পেতে পারি না? এখানে আমাদের প্রার্থী মধুপর্নার বয়স মাত্র ২৫ বছর। ও জিতলে মানুষের বাড়ি বাড়ি দৌড়ে পরিষেবা দেবে। আর যদি তা না হয়, দুবছর পর ফের আপনারা বদলে দেওয়ার সুযোগ পাবেন। আর বাগদায় যদি আমাদের কোনও নেতা ভুল করে থাকে, তার হয়ে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”

উল্লেখ্য, বাগদায় শেষবার তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছিল ২০১১ সালে। তারপর থেকে ২০১৬, ২০২১ সালে দুটি বিধানসভা ভোট আর জিততে পারেনি শাসক দল। ২০১৯ ও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই উপনির্বাচন খুব তাৎপর্যপূর্ণ তৃণমূলের জন্য।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায় রাজ্যের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভাল: ব্রাত্য বসু
