কল্যাণের ‘ফ্লপ শো’! মানিকতলা-সহ ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সবুজ ঝড়ের ভবিষ্যদ্বাণী কুণালের

মানিকতলা (Maniktala) কেন্দ্রে একেবারে উৎসবের মেজাজে ভোট। বাকি ৩ টি কেন্দ্রেও মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রতিই আস্থা রেখেছেন। বুধবার রাজ্যের ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By Election) নিয়ে এমনই মত তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। তবে এদিন বিজেপিকে তোপ দেগে কুণাল সাফ জানান, হারের পর ছুতো তৈরির জন্য পায়ে পা লাগিয়ে অশান্তির চেষ্টা বিজেপির (BJP)। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) উন্নয়নের উপর ভর করেই ভোট করেছে বল মত কুণালের। আর সেকারণেই তৃণমূলের কোনওরকম গণ্ডগোলের কোনও প্রশ্নই উঠছে না। কোথাও কোথাও গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে মারামারি করে বিজেপি তৃণমূলের নামে দোষারোপ করছে। যার সঙ্গে আদপে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই। তবে শুধু সাংবাদিক বৈঠকেই নয়, এদিন দুপুরে এক্স হ্যান্ডেলে মানিকতলা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে (Kalyan Chaubey) কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা। এদিন গাজোয়ারির কারণে কাঁকুড়গাছিতে মানিকতলার বিজেপি প্রার্থীকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ভোটাররা। সেই প্রসঙ্গে কুণাল সাফ জানান, ২০২১ এ হারার পর ৩ বছর এলাকায় নেই; মামলা করে উপনির্বাচনে বাধা দেওয়া, সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পরেও ভোট আটকে পরিষেবায় বঞ্চনা, সুপ্রিম কোর্টের বকুনিতে মামলা তোলা এবং এতদিন পর ফের প্রার্থী হয়ে ভোটযুদ্ধে হাজির, সেকারণেই মানিকতলার কিছু মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে কল্যাণ চৌবেকে।

কুণাল বারবার বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে। তবে এদিন বিজেপি সিপিএমের মদতে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভোটাররা ও প্রশাসন তা একেবারেই প্রশ্রয় দেয়নি। তবে এদিন তৃণমূল নেতা পরিষ্কার করে দেন, নির্বাচনের সবরকম দায়িত্ব কেন্দ্রের, রাজ্যের এখানে কোনও দায়িত্ব নেই। কিন্তু যেখানে বিজেপি নেতারাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে সওয়াল করেছেন সেখানে গেরুয়া ধ্বজাধারীরাই এখন তাদের বিরোধিতায় নেমেছে। বিজেপি হয়তো ভেবেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের পতাকা হাতে রাস্তায় র‍্যালি করবে। আর তা না করাতেই এবার গাজোয়ারি শুরু বিজেপির। পাশাপাশি এদিন তিনি মনে করিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, সিবিআই, কমিশনের উপর ভর করেই একটা দল দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে উপনির্বাচনে যে স্বাভাবিকভাবেই কম ভোট পড়ে এদিন সেকথা মনে করিয়ে কুণালের সাফ জবাব, সাধারণ নির্বাচনের থেকে এই ভোটে ভোটদানের হার কিছুটা কম হয়। এর মধ্যে অস্বাভাবিকতার কোনও জায়গা নেই, এটা ট্র্যাডিশন। তবে সবকিছু দূরে সরিয়েই বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে ভোটাভুটি। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী এনআই অ্যাক্টে ছুটি ঘোষণা করেছেন।

তবে কুণাল এদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, মানিকতলা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিপুল ভোটে সুপ্তি পাণ্ডে জিতবেন। বিজেপি-সিপিআইএম আগে নিজেদের জামানত বাঁচাক তারপর কথা বলবে।