অপপ্রচার কুৎসার বিরুদ্ধে মানুষের জয়: চার কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ে প্রতিক্রিয়া মমতার

"চারটে সিটের মধ্যে তিনটে সিটে ছিল বিজেপি। লোকসভাতেও বিজেপি, বিধানসভাতেও বিজেপি। সেটা তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে।"

লোকসভা নির্বাচনের মাসখানেক পরে রাজ্যে চারকেন্দ্রে উপনির্বাচনের আলাদা গুরুত্ব ছিল। সেই নির্বাচনে বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চার কেন্দ্রেই তৃণমূলের জয়কে কুৎসা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মা-মাটি-মানুষের জয় বলে দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের জেতা কেন্দ্র মানিকতলা বিপুল ভোটে জয়ের পাশাপাশি, বিজেপির হাত থেকে তিনটি কেন্দ্র ছিনিয়ে নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তিন কেন্দ্র নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “চারটে সিটের মধ্যে তিনটে সিটে ছিল বিজেপি। লোকসভাতেও বিজেপি, বিধানসভাতেও বিজেপি। সেটা তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে।”

জয়ের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রথমেই মানিকতলার উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “চারকেন্দ্রে যে উপনির্বাচন ছিল লোকসভা নির্বাচনের পরে এর রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। একমাত্র মানিকতলাটা আমাদের ছিল। গত দুবছর ধরে সাধনদার মৃত্যুর পরে কোর্টে কেস করে নির্বাচনটা করতে দেওয়া হয়নি। সুপ্তির জেতাটা খুব ভালো জেতা।”

রায়গঞ্জ ও রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণ কল্যাণী ও মুকুটমণি অধিকারীর জয় নিয়েও সমানভাবে নিশ্চিত ছিল তৃণমূল। দলের সুপ্রিমোর দাবি, “রায়গঞ্জের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। লোকসভাতেও ওর জেতার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপি কংগ্রেসকে টাকা দিয়ে ভোট ভাগ করে বিভাজনের রাজনীতি করে কেন্দ্রটা হারিয়েছিল। এবারে বিধানসভায় চ্যালেঞ্জটা ও নিয়েছিল। মানুষ ওকে সমর্থন জানিয়েছে। আমরা কৃতজ্ঞ মানুষের কাছে।”

একইভাবে রানাঘাট দক্ষিণে মুকুটমণির জয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “মুকুটমণিও বিজেপির বিধায়ক ছিল। বিজেপি থেকে যোগ দেওয়ার পরে আমরা ওকে লোকসভায় টিকিট দিয়েছিলাম। অপপ্রচার, কুৎসা, নির্বাচন কমিশনের চক্রান্তের জন্য হয়তো হেরে গিয়েছিল। সে জিতে এসেছে। সে বিজেপির বিধায়ক ছিল, তৃণমূলের বিধায়ক হল।”

বাগদার ক্ষেত্রেও ভূয়শী প্রশংসা করেন তরুণ প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুরের। তিনি বলেন, “আমাদের সবথেকে তরুণ প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণাকে ওখানে টিকিট দিয়েছিলাম। মধুপর্ণা খুব ভালো ফাইট দিয়েছে। ওখানকার মানুষ ওকে সমর্থন জানিয়েছে, জিতেছে।” উপনির্বাচনের জয়কে মানুষের জয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।