উত্তর প্রদেশের গোন্ডায় লাইনচ্যুত চণ্ডীগঢ়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের মোট ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উত্তর প্রদেশের রিলিফ কমিশনার, জিএস নবীন কুমার জানিয়েছেন মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) গোন্ডা জেলার মতিগঞ্জ এবং ঝিলহি রেলওয়ে স্টেশনের মাঝের এক জায়গায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রেলের আধিকারিকরা। উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে রওনা দিয়েছে সেনা জওয়ানদের একটি দল।
এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ইউপির গোন্ডায় আজ আরেকটি মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার কথা জেনে দুঃখিত! আরেকটি ট্রেন লাইনচ্যুত, এ বার চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস! রেল কর্তৃপক্ষ কি করছে!! ভারত সরকার কি করছে!! যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা সর্বাগ্রে! সরকারের বুদ্ধি কবে আসবে? শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা, আহতদের জন্য প্রার্থনা।
বুধবার রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চণ্ডীগড় থেকে ছেড়েছিল ট্রেনটি। এদিন দুপুরে ট্রেনটি গোন্ডার ঝিলহি স্টেশনের কাছাকাছি আসার পর হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। এরপরই ট্রেনটি কাঁপতে শুরু করে এবং লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। ভয়ে চিৎকার করে উঠেছিলেন তাঁরা। লাইনচ্যুত ট্রেনটি থামার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত যাত্রীরা ট্রেনটি থেকে বেরিয়ে আসেন। ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ট্রেনটির উল্টে থাকা বগিগুলির পাশে মালপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। অনেককে, ট্রেনের দরজা বেয়ে উঠে ভিতর থেকে মাল বের করতেও দেখা যায়।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ট্রেনটির চারটি এসি কোচের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। দুটি বগি সম্পূর্ণ উল্টে গিয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আহতদের সবরকম চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও ঘটনাস্থলে যেতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও। অসম সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছে। উত্তর প্রদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে অসম সরকার।