মালদহের মানিকচকের ঘটনার সঙ্গে লোডশেডিং-এর কোনও সম্পর্ক নেই। দাবি করলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লোডশেডিং (Load shedding) শব্দটি তুলে দিয়েছেন। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখানে বিদ্যুতের কোনও সমস্যা নেই। অন্যান্য রাজ্যে যেখানে গড়ে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়, সেখানে এই রাজ্যে কোথাও একমিনিটও হয় না।
অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) জানান, “দীর্ঘ ১০ মাস ধরে বিদ্যুৎ দফতর, পুলিশ, প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দরকার স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা। আবারও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন করছি, ওই তিনটি টাওয়ার বসানোর কাজ করার জন্য আপনারা আমাদের আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করুন। উক্ত অঞ্চলে সার্বিকভাবে উন্নত বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানের জন্য আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত ভাবে প্রয়োজন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অন্যান্য জায়গার মতো উক্ত অঞ্চলেও উন্নতমানের বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।“
এদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর এলাকায় দীর্ঘক্ষণ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। পুলিশ কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী চড়াও হয় এবং ব্যাপকভাবে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অবরোধ তুলতে গিয়ে মাথা ফাটে মানিকচক থানার আইসির। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে দুজন জখম হয়েছেন বলে এমনটাই অভিযোগ করেছে সিটু। এলাকায় নামানো হয় ব়্যাফ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল (Kunal Ghosh) ঘোষ জানান, যে ঘটনা ঘটেছে দুর্ভাগ্যজনক। কয়েকজন পরিকল্পিত ভাবে পুলিশকে আক্রমণ করেছে। নির্দিষ্ট কয়েকটা পকেটে ধারাবাহিকভাবে সমস্যা হচ্ছে। মালদহের মানিকচকে যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিদ্যুৎ দফতর কাজ করছে। পাওয়ার গ্রিড থেকে মনিকচক আসার ৮৯ টি টাওয়ার দরকার। ৩টি বাকি। সেটার জন্য কয়েকজন ইচ্ছাকৃত ভাবে প্ররোচনা দিচ্ছেন, অসহযোগিতা করছেন যাতে কাজটা না করা যায়। লোডশেডিং নয়। পুলিশকে আক্রমণ করা হয়েছে। তারপর পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।