চিনের সঙ্গে মিলছে হামাস! তড়িঘড়ি ইজরায়েলকে ডাক হোয়াইট হাউসে

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ থামানো বার্তা দেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। দুই নেতৃত্বের প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক হয়

এবার মধ্য প্রাচ্যের রাজনীতিতে সরাসরি প্রবেশ চিনের। একদিকে ইজরায়েলকে যুদ্ধ থেকে নিরস্ত করার চেষ্টায় যখন আমেরিকা ব্যর্থ, তখন নতুন জাতি গঠনের পথে প্যালেস্তাইন। আর তাদের পিছনে চালিকা শক্তি হিসাবে এগিয়ে আসছে ভারতের প্রতিবেশী তথা আগ্রাসী চিন। এই মেলবন্ধনে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশ্বের রাজনীতিকরা। তড়িঘড়ি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হোয়াইট হাউসে ডেকে দ্রুত যুদ্ধ বিরতির পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করল আমেরিকা।

যুদ্ধবিরতির বিতর্কের মাঝেই ২৩ জুলাই চিনের উপস্থিতিতে প্যালেস্তাইনের ১৬টি সংগঠন চুক্তি স্বাক্ষর করে। হামাস সহ এই সংগঠনগুলি অন্তর্বর্তী জাতীয় সমন্বায়ক সরকার গঠনের পক্ষে সহমত পোষণ করে। হামাস নিজেদের বিরোধী দল ফাতাহ-র সঙ্গেও সহমত হয় নতুন সরকার তৈরি জন্য, চিনের উপস্থিতির কারণেই। বেজিংয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পরে প্যালেস্তাইনের সংগঠনগুলি দাবি করে যুদ্ধ শেষে সুসশানের জন্য় তারা সংঘবদ্ধ।

এরপরই বৃহস্পতিবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ থামানো বার্তা দেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। দুই নেতৃত্বের প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে কমলা হ্যারিস জানান, ইজরায়েলের নিজেদের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলার অধিকার রয়েছে। সেটা কী প্রক্রিয়ায় হচ্ছে সেটা মাথায় রাখা দরকার। গাজার বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবিক দিক থেকে আমেরিকাও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না বলে জানান তিনি।

তবে ডেমোক্রাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি আমেরিকার নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করবেন নেতানিয়াহু। যদিও কমলা হ্যারিসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তিনি কীভাবে দেখছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী।

Previous articleকেন টি-২০ বিশ্বকাপে দলে সুযোগ হয়নি, কারণ নিজেই জানালেন শুভমন
Next articleমেট্রোয় বাড়ছে খারাপ কাজ, রাজধানীতে ১৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা!