সেনাদের নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করুন! কার্গিল বিজয় দিবসে মোদির ‘মিথ্যাচারের’ পর্দাফাঁস বিরোধীদের

সেনাদের সুরক্ষা নেই, মোদি সরকারের আমলে রেকর্ড সেনা মৃত্যু হলেও এতটুকু টনক নড়েনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির‌‌। ফের সেনাদের নিয়ে রাজনীতি করতে শুক্রবার কার্গিলে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার কার্গিল বিজয় দিবসের ২৫-তম বার্ষিকীতে শহিদ সেনানীদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এরপরই নিজের ঘাড়ের দোষ অস্বীকার করে বিরোধীদের উপর চাপালেন প্রধানমন্ত্রী। এনডিএ সরকারের উপর দোষ চাপিয়ে সেনাদের নজরে ভালো হওয়ার চেষ্টা মোদির। কিন্তু মোদি মুখে যতই বলুন সেনাদের জন্য যে প্রধানমন্ত্রী কতখানি মানবিক তা এবারের বাজেটে পরিষ্কার। শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি করতে একের পর এক মিথ্যাচার করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেনাদেরও সেই তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন না। আসলে প্রধানমন্ত্রী বুঝেছেন তাঁর সরকারের মেয়াদ আর বেশিদিন নেই‌। শুক্রবার দ্রাসে আনুষ্ঠানিকভাবে শিনখুন লা সুড়ঙ্গের নির্মাণের কাজের সূচনা করেন মোদি।

অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা যা করছে তা রাজনীতি ভিন্ন আর কিছু নয়। মোদির অভিযোগ, এরাই সেই লোক যারা চেয়েছিল ভারতীয় বিমানবাহিনীতে আধুনিক যুদ্ধবিমান যাতে না আসে। এরাই তেজস যুদ্ধবিমান বাতিল করতে উঠেপড়ে লেগেছিল। বিরোধীদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর হাতে কোনো ইস্যু নেই। মোদি সরকারের আমলে যে লাগাতার সেনা মৃত্যু হচ্ছে তার জন্য কী পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে উঠে আসে অগ্নিপথ প্রসঙ্গও। মোদি বলেন, সেনাবাহিনীতে তরুণ রক্ত সঞ্চালিত করাই সরকারের লক্ষ্য। যাতে সেনাবাহিনী ধারাবাহিকভাবে তরুণদের শক্তিতে ভরপুর থাকে। যে কোনও সময় যুদ্ধের জন্য বাহিনীকে প্রস্তুত রাখাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
এরপরই বিরোধীদের আক্রমণ করে মোদি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হল কিছু মানুষ একে নিয়ে রাজনীতি করে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিতে চাইছে। কার্গিলে গিয়ে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেনা জওয়ানদের নিয়ে রাজনীতি করতে একবারও ভাবলেন না প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার বিরোধী রাজ্যগুলিকে বঞ্চনার অভিযোগে উত্তপ্ত লোকসভা। তার মধ্যেই মোদির এমন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পাল্টা তোপ বিরোধীদের।