কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ‘ভুয়ো’ মহিলা চিকিৎসকের পর্দাফাঁস! গ্রেফতার ২

পুলিশী হেফাজতে থাকা কল্যাণীর জেএন এম হাসপাতালে ‘ভুয়ো’ মহিলা চিকিৎসক টাকা তুলেছে। একইসঙ্গে চাকরিও দিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য উঠে এসেছে। নিজেকে চিকিৎসক বলে দাবি করা ওই মহিলার নাম বন্দনা সেনগুপ্ত। তার বাড়ি কসবা এলাকায়। একইসঙ্গে এক ভুয়ো লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কও গ্রেফতার হয়েছে। তার নাম জয়তী দাস। তার বাড়ি হুগলি জেলায়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে এই দুই মহিলাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তাঁরা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ করছিলেন। তাদের দেখে সন্দেহ হয়। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের কথায় মেলে অসঙ্গতি। তারপরই ফাঁস হয় একজন ভুয়ো চিকিৎসক ও অপরজন ভুয়ো লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক। কল্যাণী থানার পুলিশ এই দুজনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে। জয়তী দাস জামিন পেলেও বন্দনা সেনগুপ্তকে ৭ দিনের পুলিশী হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তে উঠে এসেছে বন্দনা সেনগুপ্ত চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছে। মাঝবয়সী বন্দনা সেনগুপ্ত ভুয়ো শংসাপত্র, সিলের মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করে জয়তী দাসের। এই গোটা কাজটা করে বন্দনা সেনগুপ্ত। আর কোথায় এই ভুয়ো চাকরির ব্যবস্থা করেছে, কোথা থেকে টাকা তুলেছে, জাল শংসাপত্র, সিলের মাধ্যমে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন- শান্ত সমুদ্র দক্ষ নাবিক তৈরি করে না: Insta-তে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট অভিষেকের