Saturday, August 23, 2025

সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের নেপথ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই? প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে হাসিনা সরকারের দাবিকেই মান্যতা!

Date:

Share post:

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের (Quota reformation demand) জেরে অস্থির পরিস্থিতি আপাতত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। একে একে স্বাভাবিক হচ্ছে সরকারি -বেসরকারি পরিষেবা। আগামী তিন দিন (২৮ থেকে ৩০ জুলাই) সরকারি-বেসরকারি অফিস ৬ ঘণ্টা করে চলবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রায় দশ দিন পর ইন্টারনেট চালু হাসিনার দেশে। আর তারপরেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সশস্ত্র আন্দোলনের সময়কার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের এক ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছে। তাঁর চোখের সামনে পুলিশকর্মীকে যেভাবে লাঠির রড দিয়ে পিটিয়ে মাথার ঘিলু বের করে দেওয়া হয়েছে সেটা কোনও পড়ুয়ার কাজ নয় বলেই দাবি সাংবাদিকের।

গত ১৮ জুলাই মহিলা সাংবাদিক অফিসে যাওয়ার সময় হাতিরঝিল এলাকায় বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন। সেদিনের ঘটনা মনে করে এখনও শিউরে উঠছেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জানিয়েছেন, তাঁর চোখের সামনে এক পুলিশ কর্মীকে লোহার রড দিয়ে মারতে মারতে টেনে নিয়ে যান বিক্ষোভকারীরা। তিনি ওই কর্মীকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন কিন্তু ওই অবস্থায় মহিলা সাংবাদিককে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান পড়ুয়ারা। তা না হলে সাংবাদিকের জীবন বিপন্ন হতে পারতো বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। মহিলা বলেন যে নৃশংসতার সঙ্গে পুলিশের উপর আক্রমণ হচ্ছিল সেটা কখনই পড়ুয়াদের কাজ হতে পারে না। এর নেপথ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর মদতের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। যেভাবে নেশাগ্রস্ত কিছু মানুষ হাতে গাছের ডাল, লাঠি নিয়ে সামনে থেকে হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তাতে তাঁদের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক। তাঁর কথায়, কিছু সংখ্যক পড়ুয়া ঘটনাস্থলে থাকলেও সামনে থেকে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তাঁরা মোটেই ছাত্র নন। শনিবার ঠিক এমন কথাই শোনা গেছিল দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মুখে। তাঁর মন্তব্যে রাজাকার বা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কথা উঠতেই সমালোচনা ঝড় উঠে। জামাত-ই-ইসলামি পার্টির সদস্যরা সরকার ফেলে দেওয়ার কথাও বলেন। কিন্তু মহিলা সাংবাদিকের বক্তব্যের পর সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরির যে চক্রান্তের কথা উল্লেখ করে রাজাকার বা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলেছিল বাংলাদেশ সরকার, সেই কথাই কি মান্যতা পেল না? প্রশ্ন বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে।


spot_img

Related articles

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...

রায় বেরোনোর পরেই জয়েন্টের তালিকা প্রকাশ: বোর্ডের কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা হাই কোর্ট ওবিসি সংক্রান্ত যে জট দীর্ঘদিন ধরে পাকিয়ে রাখার চেষ্টা করে চলেছিল, শুক্রবার তা প্রতিহত হয়...