টলিপাড়ায় আজও বন্ধ লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন, দফায় দফায় বৈঠকেও কাটছে না জট!

কলকাতার স্টুডিও পাড়ার চেনা ছবিটা সোমবার থেকে বদলে গেছে। শ্যুটিং ফ্লোরে নেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের হুড়োহুড়ি। আজও পরিচালকদের কর্ম বিরতি অব্যাহত। সোমবার ফেডারেশনের (FCTWEI) মিটিং কিংবা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) বাড়িতে বৈঠক – কোন কিছুই যে পরিস্থিতির স্বাভাবিক করতে পারেনি তার প্রমাণ সোমবার রাতে পরিচালকদের প্রেস কনফারেন্স। সুপারস্টারদের দেব (Dev) থেকে শুরু করে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত প্রত্যেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের কথা জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন দ্রুত টলিপাড়ায় কাজ শুরু হওয়ার। পরিচালকরা স্পষ্ট জানালেন ফেডারেশন গিল্ড (DAEI) এবং ডিরেক্টরস গিল্ডের সমস্যা মেটাতে সিনেবোদ্ধা এবং আইনজ্ঞ কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ দরকার।

যত সময় হচ্ছে ততই জটিল হচ্ছে টলিপাড়ার পরিস্থিতি। অবিলম্বে সমস্যার সমাধান চাইছেন পরিচালকেরা। এ দিকে ফেডারেশনও আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। সকলেই নিজেদের মতো করে বক্তব্য তুলে ধরছেন মূল জট কিছুতেই কাটছে না।ফেডারেশনের তরফে অভিযোগ ছিল, পরিচালকদের একাংশ ‘ষড়যন্ত্র’ করে সোমবার শুটিং বন্ধ করেছেন। এই প্রসঙ্গে অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) বলেন, “পরিচালকেরা কাজে আসেননি। কিন্তু আমরা অন্য কোনও বিভাগকে কাজে না আসার জন্য অনুরোধ করিনি।” ডিরেক্টর বলছে নিয়মের বেড়াজালে কাজের পরিসর সংকুচিত হচ্ছে। এই সমস্যার একটা পাকাপাকি সমাধান দরকার। এই বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly), অঞ্জন দত্ত, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল(Arindam Sil), সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকরাও। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) রাতেই জানিয়ে দেন, “এক দিন, দু’দিন থেকে সাত দিন হতে পারে। কিন্তু সমস্যা না মিটলে এই কর্মবিরতি চলবে।” তাই আজও সকাল থেকে টলিপাড়া কার্যত স্তব্ধ।


Previous articleফের রেল দুর্ঘটনা, ভোররাতে লাইনচ্যুত মুম্বইগামী হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেসের ১৮ বগি!
Next articleরেলট্র্যাকে মৃত্যু মিছিল থামবে কবে? হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ট্যুইট মমতার