‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকাই উচিত না’, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উপাচার্যে’র কীর্তি ফাঁস ব্রাত্যর

"সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানলে তো ওনার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকাই উচিত না। এখনও সরকারি গাড়ি, নীলবাতি গাড়ি ব্যবহার করছেন।"

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে। তারপরেও অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে উপাচার্যেরই ক্ষমতা ভোগ করছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত। উপাচার্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরকার সুযোগ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

শুক্রবার মধ্য়রাত পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এসে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন উপাচার্য। তালাবন্ধ করে রাখা হয় উপাচার্যকে। তিনি অনধিকার কাজ করছেন বলে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন পড়ুয়ারা। উল্টোদিকে রাজভবন থেকে নিয়োগ হওয়া উপাচার্য রাজভবনের নির্দেশেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হওয়া পর্যন্ত সব কাজ একইভাবে করে যাওয়ার দাবিও জানাচ্ছেন।

উপাচার্যের এই দাবি যে কতটা অন্তঃসারশূন্য, তারই জবাব দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি দাবি করেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানলে তো ওনার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকাই উচিত না। এখনও সরকারি গাড়ি, নীলবাতি গাড়ি ব্যবহার করছেন।” সেই সঙ্গে ছাত্ররা যে দাবি তুলেছেন তাকে সমর্থন করেই শিক্ষামন্ত্রী জানান, “ওরা যে দাবি তুলেছেন তা একেবারেই ঠিক। বেআইনি, ভুয়ো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢুকে পড়া ঘুসপেটিয়া, অনুপ্রবেশকারী যারা উপাচার্যের নাম করে ঢুকছেন, এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই কার্যকলাপের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন জানান ব্রাত্য। তিনি বলেন, “আশা রাখব মহামান্য সুপ্রিম কোর্টকে যেভাবে বুডো আঙুল দেখিয়ে সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন সরকারিভাবে, মহামান্য আদালত এর ব্যবস্থা নেবেন।”`শনিবার স্কটিশচার্চ কলেজিয়েট স্কুলের প্রথম সেমিস্টারের পড়ুয়াদের প্রথম সমাবর্তনে যোগ দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে স্কটিশচার্চের ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি অস্থায়ী উপাচার্যদের অধিকার নিয়েও সতর্ক করে দেন তিনি।