আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে গলা টিপে খুনের প্রমাণ মিলেছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে নাক, মুখে জমাট রক্ত, গোপনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন মিলেছে। তবে কি সত্যি সেমিনার হলে ধর্ষণ করে খুন করা হল তরুণী চিকিৎসককে, স্বাভাবিকভাবেই ক্রমশ বাড়ছে সেই আশঙ্কা।

সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে রাত ৩টে থেকে ভোর ৬টার মধ্যেই খুন হয়েছেন মহিলা চিকিৎসক। ওই রিপোর্ট সূত্রের খবর, প্রথমে গলা টিপে খুন, মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফের শ্বাসরোধ করা হয়। সূত্রের খবর এই বিষয়গুলি নিয়ে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে প্রায় নিশ্চিত পুলিশ। মৃত মহিলা চিকিৎসকের গলার হাড় ভাঙা, চাদরে রক্তের দাগ মিলেছে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন- অলিম্পিক্সের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের পতকাবাহক হিসাবে মানু ভাকেরের সঙ্গে শ্রীজেশ

প্রসঙ্গত, শুক্রবার, সকালে হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ডেকে পাঠানো হয় ফরেনসিক টিমকেও। ঘটনায় প্রথম থেকেই সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এদিন আর জি করে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। খবর শুনেই মৃতার বাবাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানান তিনি। একই সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দেন মমতা।

ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে ১১ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ সাফ জানিয়েছেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। তবে, ঘটনা নিয়ে ‘মৃত্যুর রাজনীতি’তে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। আর জি করে গিয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবির। বিরোধীদের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ।
