রাজ্যে নতুন টোটো নীতি চালু করার আগে এই মুহূর্তে চলা মোট টোটোর সংখ্যা এবং তাদের মধ্যে বৈধ-অবৈধ টোটোর পরিমাণ স্থির করতে রাজ্য সরকার সমীক্ষা শুরু করছে।


টোটো মোটর যান আইনের আওতায় না পড়লেও বিকল্প উপায়ে তা নথিভুক্তির কাজ শুরু হবে। এরপর সমস্ত টোটোতে কিউ আর কোড বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই কোড স্ক্যান করলেই টোটোর মালিকের যাবতীয় তথ্য, চলাচলের পরিধি সহ সমস্ত বিবরণ জানা যাবে। সেই সঙ্গে টোটো তে অন্যান্য গাড়ির মতো বিশেষ নম্বর সম্বলিত স্টিকারও দেওয়া হবে। বাস বা অটোর মত টোটোর ক্ষেত্রেও আগামী দিনে যাতায়াতের পরিসর বেঁধে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাজ্যের পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর সাফ নির্দেশ, রাজপথের মসৃণ গতি সুনিশ্চিত করতে হবে। টোটোর জন্য রাস্তায় যানবাহনের গতি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে বলে ভূরি ভূরি অভিযোগ আসছে। তাই আইন মেনে টোটোকে নিয়মের মধ্যে আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এর ফলে টোটো চালকদের জীবন জীবিকা কোনওভাবেই ব্যাহত হবে না। বরং আরও উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার তাদের সবরকম সহায়তা করবে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ৬ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী, সচিব ও বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে যে বৈঠক করেন সেখানেই পুলিশের তরফে অভিযোগ করা হয়, যাবতীয় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য কিংবা জাতীয় সড়কে যাত্রী নিয়ে ছুটছে টোটো। প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। শুধু তাই নয়, টোটোর দৌরাত্ম্যে যাত্রী হারাচ্ছে বাস, অটো সহ বিভিন্ন গণপরিবহণ। সরকারকে রোড ট্যাক্স জমা দিয়ে যাত্রী পরিষেবা দেয় অটো, বাস ইত্যাদি। কিন্তু রাস্তায় চলা লক্ষ লক্ষ টোটো থেকে রাজ্য সরকারের কোনও আয় নেই। এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যজুড়ে টোটো নিয়ন্ত্রণের তোড়জোড় শুরু হয়। কিউ আর কোড এবং বিশেষ স্টিকার তৈরির দায়িত্বে থাকবে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। ওই দফতরই টোটো-সুমারির ভিত্তিতে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করবে এবং প্রযুক্তিগত যাবতীয় সাহায্য করবে। পাশাপাশি টোটো সংক্রান্ত একটি বিশেষ অ্যাপও তৈরি করা হবে। পরবর্তী সময়ে পুলিশকে তা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। অর্থাৎ, এখন যেমন মোবাইলে আঙুল ছুঁইয়ে ট্রাফিক পুলিশ কোনও নির্দিষ্ট গাড়ির যাবতীয় তথ্য পেয়ে যান, আগামী দিনে সেভাবেই রাজ্যের সমস্ত টোটোর ‘ঠিকুজি’ প্রস্তুত রাখতে চাইছে সরকার।

আরও পড়ুন- এবার মহিলাদের সমান ‘চাইল্ড কেয়ার লিভ’ পাবেন পুরুষেরাও! নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের















