নিজের দেশের ইতিহাস পড়তে গিয়ে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ যারা ইতিহাসের পাতায় পড়বে তাদের অনেকেই নিজেদের জীবনে এই যুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করছে। রাষ্ট্রসংঘের হিসাবে প্রায় ১৭ হাজার শিশু এই যুদ্ধে অনাথ হয়েছে। তারপরেও বন্ধ হয়নি বোমার বর্ষণ। থামেনি সন্তানের পিতৃ-মাতৃহারা হওয়া বা বাবা-মায়ের কোল থেকে সন্তানের চলে যাওয়া। তালিকায় নতুন সংযোজন তিন মাসের রীম আবু হাইয়া।

গাজার খান ইউনুস এলাকায় আগে থেকে ঘোষণা করে এয়ার স্ট্রাইক করে ইজরায়েল। আগে থেকে ঘোষণা করে এলাকা খালি করতে বলা হয়। তারপরে আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ হলে মৃত্যু হয় দশজনের। বাবা-মাকে হারায় পাঁচ মাসের রীম আবু হাইয়া। সেই সঙ্গে তার তিন ভাই-বোনও মারা যায়, যাদের বয়স ছিল পাঁচ থেকে বারো বছরের মধ্যে। বোমাবাজির শেষে নিঃসঙ্গ আবু হাইয়াকে উদ্ধার করা হয়।

প্রায় দশমাস ধরে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধে সবথেকে বড় ক্ষতির মুখে গাজার শিশুরা, একথা বারবার বলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এপ্রিল মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী গাজায় অনাথ হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার শিশু। প্রতিদিন সেই সংখ্যাটা বাড়ছে। শিশুদের পাশাপাশি পরিবারহারা হয়েছেন বহু মহিলা। পুরুষশূন্য পরিবারের সাক্ষী থেকে গিয়েছেন প্রায় দশ হাজার। তার মধ্যে প্রায় ৬ হাজার মা। আবার সন্তানহারা হয়েছেন বহু বাবা-মা।

মঙ্গলবারের হামলায় একদিকে খান ইউনুস এলাকার আবু হাইয়া যেমন নিজের গোটা পরিবারকে হারিয়েছে, তেমনই সন্তান সহ গোটা পরিবার হারিয়েছেন মহম্মদ আবুয়েল কোমাসান। আবু হাইয়ার থেকে মাত্র কিলোমিটার দশেক ব্যবধানে আবুয়েল স্ত্রীয়ের সঙ্গে হারিয়েছেন দুই জমজ সন্তানকে, যাদের বয়স ছিল মাত্র চারদিন।
