লোকসভা নির্বাচনে হারের জ্বালা সামলাতে না পেরে রাজ্যে মিথ্যচারের রাজনীতি শুরু করেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। এবার আর জি কর কাণ্ড নিয়েও নোংরা রাজনীতি শুরু মোদি বাহিনীর। আর জি করে (R G Kar) পড়ুয়া ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে উত্তাল দেশ। ইতিমধ্যে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি মেনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) তদন্তভার হাতে তুলে নিয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসন প্রথম থেকেই তৎপর হয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিবারের পাশে থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানালেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে বুধবার রাতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে ফের নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বাড়লেও শুক্রবার ফের রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টায় পথে নামে গেরুয়া বাহিনী। শুধু বিজেপি বললে ভুল হবে। এদিন ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে এসইউসিআই (SUCI)। নিজেদের নীতি, আদর্শ ভুলে তাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এবার শহর তথা রাজ্যকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে কোনও চেষ্টার খামতি চোখে পড়েনি। তবে পুলিশি তৎপরতায় দাঁত ফোঁটাতে পারেননি বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর লক্ষ্যে শুক্রবারই ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। আর জি কর হাসপাতালের অদূরে শ্যামবাজার ১ নম্বর মেট্রো স্টেশনের কাছে সেই মতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। বারবার বারন সত্ত্বেও গাজোয়ারি করে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু করলে তাতে বাধা দেয় পুলিশ। পাশাপাশি তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে গেরুয়া বাহিনীর রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বলে খবর। এদিকে খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য, রুদ্রনীল ঘোষ, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বিজেপির একঝাঁক নেতা, কর্মীরা। এরপর আচমকাই বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে ধবস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে গেরুয়া বাহিনী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এরপরই বিজেপির একাধিক নেতা, কর্মী-সহ রুদ্রনীলকেও আটক করে ভ্যানে তোলে পুলিশ। অন্যদিকে, বিজেপির দাদাগিরিতে এদিন অশান্ত হয়ে পড়ে দমদমের নাগেরবাজার এলাকাও। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে খবর।

এসইউসিআই-র ডাকা বনধে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া এদিন তেমন কোনও প্রভাব চোখে পড়েনি। সকাল থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভ দেখালেও পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিভিন্ন জায়গা থেকেই বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে শুক্রবার আর জি কর-কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথে নামছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিকেল ৩টেয় মৌলালির মোড় থেকে মিছিল করবেন তিনি। পাশাপাশি ১৭ আগস্ট, রাজ্য জুড়ে সব ব্লক, ওয়ার্ডে দু’ ঘন্টা মিছিল আন্দোলন হবে রাম-বামের চক্রান্তের বিরুদ্ধে। ১৮ তারিখেও ধর্না হবে ব্লকে ব্লকে। এরপর ২০ তারিখে ফের পথে নামবে রাজ্যের শাসক দল।
